আজ- বৃহস্পতিবার | ১৩ নভেম্বর, ২০২৫
২৮ কার্তিক, ১৪৩২ | বিকাল ৫:৫২
১৩ নভেম্বর, ২০২৫
২৮ কার্তিক, ১৪৩২
১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ২৮ কার্তিক, ১৪৩২

শিল্পী সমিতির নির্বাচন ১৮ অক্টোবর

দৃষ্টি বিনোদন:

শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০১৯-২০২১) নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামি ১৮ অক্টোবর । বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির সভাপতি ও চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা মিশা সওদাগর।

মিশা সওদাগর জানান, শোকের মাস পার হয়েছে। তাই বিলম্ব না করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান কমিটি সমিতির গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় না।
এদিকে তারিখ ঘোষণার আগেই নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে চলচ্চিত্র শিল্পীদের মাঝে। ইতোমধ্যেই কেউ কেউ আগামি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন প্রকাশ্যে। এর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের লাস্যময়ী অভিনেত্রী মৌসুমী। সভাপতি প্রার্থী হয়ে আগামি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি।

অন্যদিকে প্রকাশ্যে এখনও কিছু না বললেও এবারও যে নির্বাচনী মাঠ ছাড়বেন না মিশা সওদাগর সেটা পরিস্কার। মিশা’র দাবি, গতবার বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ার পর অর্থাৎ নেতৃত্বে এসে শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষায় তিনি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। সে কারণেই এই অভিনেতা আশা করেন আবারও শিল্পীরা তাদের পাশে থাকার সুযোগ করে দেবেন।

মিশা সওদাগর বলেন, ‘গতবার আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যে ক’টি বিষয় আমরা উল্লেখ করেছিলাম। আল্লাহর রহমতে তার প্রায় সব ক’টিই বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমান কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের দিকে খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন কিংবদন্তী সব মানুষদের। এর আগে এমনটা কখনওই ছিল না। সব থেকে বড় পাওনা হিসেবে বলতে পারি বিদেশি সিনেমাকে একটি শক্ত নীতিমালার মাধ্যে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া যৌথ প্রযোজনার নামে যে সব প্রতারণা হচ্ছিলো। সেগুলোকে কঠোর হাতে প্রতিহত করেছি। বর্তমান কমিটির নেতৃত্বে যারা ছিলাম তারা যদি সোচ্চার না হতাম তাহলে এতো দিনে আমাদের চলচ্চিত্র ধ্বংস হয়ে যেত।’

২০১৭ সালের ৫ মে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্বে আসার পর আরও যেসব অর্জন রয়েছে সেগুলো সম্পর্কেও কথা বলেন মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, ‘কি না করেছি সমিতি এবং শিল্পীদের উন্নয়নের স্বার্থে। আগের দিনগুলোর দিকে খেয়াল করলে আপনারা পরিস্কার দেখতে পাবেন। পিকনিক থেকে শুরু করে আমাদের সমিতির যেসব প্রোগ্রাম হতো সেগুলোতে কিংবদন্তি শিল্পীরা আসতেন না। তার অনেক কারণও ছিল। যেগুলো এখন আর বলতে চাই না। শুধু বলবো আমাদের গুণীজন অর্থাৎ সিনিয়রদের মনে অনেক কষ্ট ছিল। যাই হোক আমরা তাদের কাছে গিয়েছি। ক্ষমা চেয়েছি। এর পরের ঘটনা সবারই জানা। সমিতির প্রতিটি অনুষ্ঠানেই তাদের আমরা পাশে পেয়েছি। শুধু তাই নয়, সমিতি ও সদস্যদের কল্যাণে সিনিয়রদের পরামর্শ নিয়েই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এছাড়া শিল্পী সমিতির যারা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন তাদের উদ্দেশে প্রতি মাসেই কোরআন খতম করেছি। তাদের আত্মার শান্তি কামনায় প্রায়ই দোয়া আয়োজন করেছি। আর যারা অসুস্থ ছিলেন বা আছেন তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। যা আগে কখনও করা হয়নি। হ্যাঁ, একটা কাজই আমরা করতে পারিনি। সেটা হচ্ছে দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে কারো সঙ্গে ‘ফান’ করতে পারিনি।’

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়