আজ- শনিবার | ২৪ মে, ২০২৫
১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ | রাত ২:১৫
২৪ মে, ২০২৫
১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
২৪ মে, ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

শীতে ফুলকপির অপার গুণাগুণ!

দৃষ্টি ডেস্ক:

হৃদ্‌রোগ, ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক ফুলকপি। আছে আরও নানান উপকারিতা। ফুলকপির অপার গুলাগুণ জেনে নিন।

 

ফুলকপিতে কী কী আছে-

 

ফুলকপিতে আছে ফাইবার বা আঁশ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, ফোলেট (বি৯), পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কোলিন, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস।

 

 

ফাইবারের ভান্ডার-

 

ফুলকপিকে ফাইবারের ভান্ডার বলা যায়। ফাইবার বা আঁশ অন্ত্রে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্টি জুগিয়ে ব্যথা কমাতে ও হজমে সাহায্য করে। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য, ডাইভারটিকুলাইটিস ও ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজের মতো হজমজনিত সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারে। যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁরা ফুলকপি খেতে পারেন। কারণ, এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।

 

 

 

 

 

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভালো উৎস-

 

ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোসিনোলেটস ও আইসোথিওসায়ানেটস রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দুটি ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ধীর করতে সহায়ক। এ ছাড়া ফুলকপিতে ক্যারোটিনয়েড ও ফ্ল্যাভোনয়েড নামের দুটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এগুলোও ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এবং হৃদ্‌রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে।

 

 

 

 

 

ওজন কমাতে সহায়ক-

 

 

আপনি ওজন কমাতে চান? তাহলে ফুলকপি খেতে পারেন। ১০৭ গ্রাম ফুলকপিতে মাত্র ২৭ ক্যালরি থাকে। যদি বেশি পরিমাণে এটি খেয়ে ফেলেন, তবু বেশি পরিমাণে ক্যালরি খাওয়া হবে না। এতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া ধীর করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, যা দিনে ক্যালরি গ্রহণ কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পানি থাকায় (৯২ শতাংশ) এটি শরীরকে আর্দ্র রাখে এবং কম ক্যালরিযুক্ত খাবার হওয়ায় ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

 

 

 

কোলিনের ভালো উৎস-

 

 

 

ফুলকপির অন্যতম উপাদান হলো কোলিন। ১০৭ গ্রাম ফুলকপিতে প্রায় ৪৪ মিলিগ্রাম কোলিন থাকে। ফুলকপি নারীদের দৈনিক প্রয়োজনের প্রায় ১০ শতাংশ এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রায় ৮ শতাংশ পূরণ করে। এটি ডিএনএ সংশ্লেষণ ও মেটাবলিজম উন্নত করে। মস্তিষ্কের বিকাশ ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এটি।

 

 

 

 

 

লিভারে কোলেস্টেরল জমা হওয়াও প্রতিরোধ করে এটি। গবেষণায় দেখা গেছে, কোলিনের ঘাটতি লিভারের রোগ এবং স্নায়বিক ব্যাধি, যেমন আলঝেইমারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

 

 

 

 

 

 

সালফোরাফেন-সমৃদ্ধ-

 

 

গবেষণায় দেখা গেছে, সালফোরাফেন ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ধীর করতে সাহায্য করে। এটি ক্যানসার ও টিউমার বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

 

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়