দৃষ্টি নিউজ:
শুভ ইস্টার সানডে আজ (১৬ এপ্রিল)। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর এই দিনে খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট পুনরুত্থিত হয়েছিলেন। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টান সমপ্রদায়ও শনিবার গভীর রাত থেকেই দিনটি যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় উদযাপন করছে। প্রতিটি চার্চ অপরূপ সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। আজ(রোববার) সকালে দেশের সব চার্চেই বিশেষ খ্রিস্টযোগ ও প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থনা অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন খ্রিস্টীয় সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এই বিশেষ দিনটি পালনের জন্য নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ইস্টারের চেতনা বিশ্বশান্তি ও নির্মল আনন্দ আনয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করে বিভিন্ন সংগঠন বিবৃতি দিয়েছে।
খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্টকে বিপথগামী ইহুদি শাসকগোষ্ঠী তাদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন শাসনব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করেছিল। মৃত্যুর তৃতীয় দিবস রোববারে যিশুখ্রিস্ট পুনরুত্থিত হয়েছিলেন। যিশুখ্রিস্টের পুনরুত্থানের ওই রোববারটি ইস্টার সানডে হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে। এর আগের দিন গভীর রাতে প্রতিটি চার্চে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠান। খ্রিস্টভক্তরা চার্চে গিয়ে উপস্থিত হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান করেন। তারা পরস্পরের সঙ্গে ইস্টার সানডের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। খ্রিস্টভক্তরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কীর্তন করে রাতের বাকি সময় পার করে দেন। একইভাবে আজ রোববার বিভিন্ন খ্রিস্টীয় সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এই বিশেষ দিনটি পালনের জন্য নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
চার্চের পুরোহিতরা জানান, ইস্টার সানডে গোটা বিশ্বের খ্রিস্টিয়ান সমপ্রদায়ের জন্য একটি আনন্দের বিষয়। আর এই ইস্টার সানডে প্রভু যিশুর পুনরুত্থান উৎসব বলে অভিহিত। প্রত্যেক খ্রিস্টভক্তগণ আজ মহাসমারোহে প্রভু যিশুর পুনরুত্থান, তাঁর মহাগৌরব ও প্রতাপ স্বীকার করে নিচ্ছেন। আজ যিশুর পুনরুত্থান উৎসব। তিনি পাপতাপির নিমিত্তে ক্রুশে সমর্পিত হয়েছিলেন। শত্রুদের দ্বারা প্রভু যিশু প্রহারিত, লাঞ্ছিত, অপমানিত, যন্ত্রণাভোগ এবং সর্বোপরি ক্রুশের উপর জীবন সমর্পণ করে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর এই মৃত্যু ছিল ক্ষণস্থায়ী। তিন দিনের পরই তিনি মহাগৌরবে তাঁর পরাক্রম অসীম শক্তির পরিচয় দান করলেন।