দৃষ্টি নিউজ:
কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আর জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের যে ধারা আজকে একটা স্রোতে এসে মিলিত হয়েছে- এটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। তরুণ বিপ্লবীদের সাথে আমরা একত্রিত হয়েছি। আমরা মওলানা ভাসানীর ছবি বুকে নিয়ে বেঁচে আছি। আপনারা তার ছবিকে সব জায়গা থেকে মুছে ফেলে দিয়েছেন। আর শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামালে আপনারা আপত্তি করেন- এটা হবে না।
তিনি বলেন, ফ্যাসিজম কীভাবে দাঁড়ায়, ইতিহাস মুছে দিয়ে নিজেকে কায়েম করে। খালি একটা মাত্র আইকন আছে, শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি মূলত একটা ফ্যাসিস্ট মতাদর্শ কায়েম করেছিলেন। শুধু মতাদর্শ হিসেবে নয়- একটি রাষ্ট্র কায়েম করেছিলেন একটা ফ্যাসিস্ট মতাদর্শ দিয়ে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ফ্যাসিস্ট শক্তির যে ভিত্তি সেটি উপরে ফেলে দিয়েছে- এজন্য অনেকেই ভীত।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলে ‘মওলানা ভাসানী ও নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে ফরহাদ মজহার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মওলানা ভাসানীর স্মৃতি যদি আমরা রক্ষা করতে চাই তাহলে মওলানা ভাসানীর যে ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন সেটি পুনঃগঠন করতে হবে। আসিফসহ দুই উপদেষ্টাকে বিনয়ের সাথে বলব সেটা গঠন করা তাদের প্রথম কর্তব্য। যদি এটা করতে না পারেন, তাহলে দেশকে বাঁচাতে পারবেন না। ট্রাস্টের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয় চলবে। ট্রাস্টের অধীনে সকল সম্পত্তি যেটা ফ্যাসিস্ট শক্তি দখল করে নিয়েছে তা উদ্ধার করতে হবে।
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, সন্তোষে এলে আমি মর্মাহত হই। মাজারের যে দুর্দশা, ভাসানীসহ বিভিন্ন স্থাপনার যে দুর্দশা। এসবের অতিদ্রুত কাজ করতে হবে। বর্তমান সরকারের কাছে দাবি, আমরা যদি ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করতে চাই, তাহলে বিগত দিনে যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল সেগুলো আবার চালু করতে হবে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। প্রধান আলোচক ছিলেন, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।
আলোচক ছিলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, ভাসানী ফাউন্ডেশনের মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ।