দৃষ্টি নিউজ:

বৃহস্পতিবার(২৬ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের অডিটিরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য বিপ্লব কুমার গুহ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বিশ্বাস বেতকা মৌজার ৩৪ শতাংশ জায়গার (সিএস খতিয়ান নং ৬৫০, দাগ নং ১০০৪ ও ১০০৫) মালিক ভুবনময়ী দাস্যা জং ভৈরব চন্দ্র গুহ পরলোক গমন করেন। পরে তাদের একমাত্র সন্তান সতীষ চন্দ্র গুহের একমাত্র ছেলে সুশীল চন্দ্র গুহ ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা প্রাপ্ত হন।
বিগত এসএ রের্কডে খতিয়ান নং ৭৪৭, দাগ নং ১০৫৪, ১০৫৫, ১০৫৬, ১০৫৭ স্পষ্টভাবে সুশীল চন্দ্র গুহের নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে। সুশীল চন্দ্র গুহ আমাদের পিতা। তিনি পরলোক গমন করার পর আমরা ৫ ভাই যথাক্রমে গৌরাঙ্গ চন্দ্র গুহ, নারায়ণ চন্দ্র গুহ, দীপক কুমার গুহ, সুবীর চন্দ্র গুহ, বিপ্লব কুমার গুহ ওই ভূমির ওয়ারিশান সূত্রে মালিকানাপ্রাপ্ত হই। আমাদের নামে ওই ভূমির ডিজিটাল নামজারী এবং হাল সনের ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমরা সংখ্যালঘু হওয়ায় ভয়ভীতি দেখিয়ে বিশ্বাস বেতকার মৃত দুলাল আল মনসুরের ছেলে শাওন আল মনসুর গং জোরপূর্বক ৩৪ শতাংশ ভূমি দখল করেছিল। ওই অবৈধ দখলদার স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী এবং আমরা ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়ায় নানা বৈষম্যর শিকার হয়ে বৈধ মালিক হওয়া সত্বেও জমিটির দখলে নিতে পারিনি।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে একাধিকবার অবৈধ দখলদারের সাথে জমির বৈধ কাগজপত্র নিয়ে সালিশের আয়োজন করা হলেও তারা সেই সালিশে উপস্থিত হয়নি। সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ১৭ ডিসেম্বর স্থানীয়দের সহায়তায় আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধ দখলমুক্ত করেছি।
তারপর থেকেই ওই অবৈধ দখলদারের যোগসাজসে কয়েকটি ইউটিউব ও ফেসবুক পেইজে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে গৌরাঙ্গ চন্দ্র গুহ, নারায়ন চন্দ্র গুহ, দীপক কুমার গুহ, সুবীর চন্দ্র গুহসহ ওই সংখ্যালঘু পরিবারে বেশকিছু সদস্য উপস্থিত ছিলেন।