আজ- সোমবার | ১৭ নভেম্বর, ২০২৫
২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | রাত ১:২৮
১৭ নভেম্বর, ২০২৫
২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২
১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সাগরে নিম্নচাপ :: রাত থেকে বৃষ্টি :: রিমঝিম চলবে আরও কয়েক দিন

দৃষ্টি নিউজ:

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার(২২ অক্টোবর) থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবারও বৃষ্টির ধারাবাহিকতা রয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও কয়েকদিন বৃষ্টির রিমঝিম থাকবে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতভর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। শুক্রবার সকালে ঢাকায় অঝোরে বৃষ্টি ঝরে। বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়কে পানি জমে যায়। টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ জেলায়ও অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং উপকূলকে ৪ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এই নিম্নচাপের কারণে এখন বৃষ্টি হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাইমেট প্রেডিকশন সেন্টারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটির বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে প্রচুর বৃষ্টি ঝরিয়ে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় প্রবেশ শুরু করার কথা।

শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে; বেলা ১১টা থেকে ১টার মধ্যে বৃহত্তর ফরিদপুর-মাদারীপুর-গোপালগঞ্জ জেলার ওপরে; বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতে; রাত ১০টা থেকে শনিবার রাত ২টা

পর্যন্ত নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং রাত ৩টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে গভীর নিম্নচাপের ভারী বৃষ্টিপাতের অংশ অতিক্রম করতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থাগুলো বলছে, দেশের উপকূলীয় দ্বীপ ও চরগুলোতে রেকর্ড বৃষ্টি হতে পারে।

বিশেষ করে সন্দ্বীপ, হাতিয়া, ভাসানচরে শনিবার ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলোর মধ্যে খুলনা ও বরিশালে ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। আর রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।

এই ভারী বৃষ্টি শহরে জলাবদ্ধতা, গ্রামে ফসলের ক্ষতি এবং নদীতীরবর্তী এলাকায় বন্যা নিয়ে আসতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা কম। আবহাওয়া অধিদপ্তর অবশ্য বলছে, শেষ সময়ে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমে আসবে।

সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে উপকূলীয় নিম্নচাপ সম্পর্কে প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের উপকূল থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত এবং ভারতের ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। নিম্নচাপের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি জোয়ার হতে পারে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়