
দৃষ্টি নিউজ:
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ বাংলাদেশীর মধ্যে দুইজনের বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ঝগড়মান এবং কস্তুুরিপাড়া গ্রামে। এ দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম- করুণ আহাজারি। এ মৃত্যুতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে নিহতদের পরিবারের ভবিষ্যৎ। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা তারা। তাদের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতরা হচ্ছেন, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা সদরের ঝগড়মান গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে বাহাদুর(৩৫) এবং কস্তুুরিপাড়ার শামছুল হকের ছেলে মনির হোসেন(২০)। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২ মে) সৌদির রাজধানী রিয়াদ থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরের সাকরা শহরে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ বাংলাদেশী নিহত হয়। কালিহাতীর বাহাদুর ও মনির তাদেরই দুই হতভাগ্য।
নিহত বাহাদুর ছিলেন অসহায়-দুঃস্থ প্রতিবন্ধি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। প্রতিবন্ধী স্ত্রী, একমাত্র মেয়েও প্রতিবন্ধী, মা অসুস্থ, বাবা ও এক বাক প্রতিবন্ধী বোন নিয়ে ছিল বাহাদুরের সংসার। তার অপর তিন বোন বিবাহিত।
বাহাদুরের প্রতিবন্ধী স্ত্রী রাশেদা বলেন, ‘আমাগোরে লাশটা আইন্যা দেন, আমগোরে সংসার এহন কেমনে চলবো, সুদি ঋণ কিবায় সুদাবো।’
নিহত মনির হোসেনের মা মমতাজ বলেন, ‘আমার পোলার লাশটা আইন্ন্যা দেন’।
এক মাস আগে মনিরের বাবা ইরাক প্রবাসী শামছুল হকের বাম হাতের চারটি আঙ্গুল কাজ করার সময় মেশিনে কাটা পড়ে। বর্তমানে তিনি ইরাকে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় নিহতের আত্মীয়-স্বজন এবং পরিবারের সদস্যদের করুণ আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।
