দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলে ১৬ লাখ টাকায় আপোষ মীমাংসা করেছেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই) জাহাঙ্গীর আলমকে বিয়ে করা কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার। অভিযোগ রয়েছে, ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ব্ল্যাক মেইল করে কাবিন নামায় মোটা অঙ্কের টাকা বসিয়ে বিয়ে করেছিলেন রিয়া। বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়।
জানা যায়, গত ৯ জানুয়ারি টাঙ্গাইল আদালতে অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন তালাকের মাধ্যমে ওই আপোষ-মীমাংসা করিয়ে দেন। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে একজন অ্যাডভোকেট ও তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের রাজা খানের মেয়ে ও করটিয়া সাদত কলেজের ছাত্রী। এএসআই জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বলদিঘাট এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি নাগরপুর থানা থেকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বদলি হয়ে ফরিদপুরের নগরকান্দা থানায় যোগদান করেছেন।
কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না- তাই আর ঝামেলা বাড়াইনি। কাবিন নামার ১৫ লাখ এবং তিনমাসের খরচ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে তালাকের মাধ্যমে আপোষ-মীমাংসা হয়েছে। আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমেই তালাক হয়ে মীমাংসা করা হয়।
এএসআই জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষ থেকে আসা এরশাদ বলেন, মেয়েটা আগে টাকা হাতে নেওয়ার পর তালাকনামা সহ বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন।
টাঙ্গাইলের আদালতে রিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন জানান, কত টাকায় আপোষ-মীমাংসা হয়েছে- তা তিনি জানেন না। আসামিপক্ষের আইনজীবী ও তার স্বজনরা আদালতে এসেছিলেন। পরে তালাকের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হয়েছে।