আজ- ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  দুপুর ১২:০২

আওয়ামী লীগে ফিরছেন মুরাদ সিদ্দিকী!

 

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-5টাঙ্গাইলের প্রভাবশালী সিদ্দিকী পরিবারের সন্তান মুরাদ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে ফিরছেন বলে শহরে ব্যাপক গুঞ্জন চলছে। সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তাঁর যাতায়াত, বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সহস্রাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে উপস্থিত হওয়া ও সম্প্রতি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় ফুলের নৌকা উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর ফলে এই গুঞ্জন বেশ জোরালো হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা মুরাদ সিদ্দিকীকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছেন। দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি পেলেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেবেন।
এ বিষয়ে মুরাদ সিদ্দিকী বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ। আজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করেছি। আমি তো আওয়ামী লীগের বাইরে না। শুরু থেকেই আওয়ামী লীগে ছিলাম। মাঝখানে বড় ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর দলে গিয়ে কাজ করেছি। তবে কিছুদিন পরেই আমি সেখানে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার সব সময় যোগাযোগ ছিল, এখনো আছে। এখন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে সামনে থেকে আবার কাজ করতে চাই।
মুরাদ সিদ্দিকীর বড় ভাই জননেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, যিনি শেখ হাসিনার সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে ২০১৪ সালে দল ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি।dristy-pic-98
মুরাদ সিদ্দিকীর আরেক বড় ভাই বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম, যিনি ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ ছেড়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেন। মুরাদ সিদ্দিকীও সে সময় কাদের সিদ্দিকীর দলে চলে যান। ২০০১ সালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তিনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। ২০০৮ ও ২০১৪ সালে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু ওই নির্বাচনেও পরাজিত হন তিনি। এ ব্যাপারে মুরাদ সিদ্দিকী বলেন, ভোটাররা আমাকে ঠিকই ভোট দিয়েছিল, কৌশল করে আমাকে হারানো হয়েছে।
মুরাদ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে ফিরে এলে আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ও জয়ের সম্ভাবনা তাঁরই বেশি বলে জেলার দলীয় নেতারা মনে করছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতা ইতিমধ্যে জেলায় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করেছেন, যা তাঁকে দলে শক্তিশালী ভিত গড়তে সহায়তা করবে। তবে টাঙ্গাইলের আরেক প্রভাবশালী খান পরিবারের সন্তানরা এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির অনুসারী-সমর্থকরা মুরাদ সিদ্দিকীর আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে চরম বিরোধী বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের বলেন, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মুরাদ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে যোগ দিলে দল উপকৃত হবে। তবে এটি পুরোপুরি নেত্রীর ব্যাপার। তিনি চাইলেই কেবল মুরাদ সিদ্দিকীর আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার ব্যাপারটি চূড়ান্ত হবে।
এদিকে মুরাদ সিদ্দিকী আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগে থেকেই মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন। নেতাকর্মী ও সমর্থক নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে জনসমর্থন তৈরিতে কাজ করছেন। এতে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান মুরাদ সিদ্দিকী।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno