আজ- ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  সকাল ১০:৫৯

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত শিল্পের নারী উদ্যোক্তারা উত্তরণের পথ খুঁজছে

 

বুলবুল মল্লিক:

তাঁত শিল্পের এক নারী উদ্যোক্তা

তাঁত শ্রমিকদের ঘরে ঘরে হাহাকার। কাজ নেই তাই ঘরে খাবার নেই, পড়নে পুরনো কাপড়। ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে যাবে সে অবস্থাও নেই। তাঁত মালিকরা টাকার আভাবে তাঁতে তেনা দিতে (সুতা উঠানো) পারছেনা। বৈশ্বিক মহামারী করোনা তাঁতিদের পথে বসিয়েছে। এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলছিলেন টাঙ্গাইল শাড়ির রাজধানী খ্যাত পাথরাইলের পঞ্চাশোর্ধ বয়সী নারী তাঁত মালিক লাবনী বসাক।


প্রায় একই কথা বলেছেন, টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের পাথরাইলের অপর নারী উদ্যোক্তা বাসন্তী সূত্রধর, প্রতিমা বসাক, আলো বসাক, গীতা বসাক, দিপালী বসাক, কালিহাতী উপজেলার রামপুরের ফরিদা আক্তার, খালেদা বেগম, বল্লা গ্রামের আয়েশা আক্তার, নাসরিন আক্তার, নাছিমা খাতুন, বীরপাকুটিয়া গ্রামের জমেলা বেগম, বেহেলাবাড়ির ফারজানা ইয়াসমিন, মমিন নগরের আল্পনা আক্তার সহ অনেকে।


নারী উদ্যোক্তারা জানান, অত্যাধুনিকতা বাঙালির ঘর থেকে শাড়িকে বের করে দিয়েছে। জায়গা দখল করেছে সালোয়ার-কামিজ, থ্রি-পিস সহ অত্যাধুনিক পোশাক। শাড়ির বাজার ওইসব পোশাকের দখলে যাওয়ায় এমনিতেই তাঁতশিল্পের বারোটা বেজেছিল।

একই সঙ্গে বাজারজাত সংকট, ঋণ পাওয়ায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, সুতা আমদানীতে শুল্ক, রপ্তানী সমস্যা তো ছিলই। তারপরও পৈত্রিক ঐতিহ্য রক্ষায় এবং অন্য কাজে অভিজ্ঞ না হওয়ায় অনেকে তাঁতশিল্পকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিল।

কিন্তু মহামারী করোনা তাঁতশিল্পকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। করোনাকালে বৃহত্তর স্বার্থে লকডাউনে দীর্ঘ ৮ মাস তাঁত ফ্যাক্টরী বন্ধ ছিল।


তাঁত শাড়ির নারী উদ্যোক্তারা আরও জানান, প্রথম দফা করোনায় লকডাউনের পরই বন্যার থাবা। আবার দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন ধস নামে। তেমনই তাঁতিদেরও কপাল পুড়ে। ফ্যাক্টরী বন্ধ রাখায় তাঁতে থাকা ভিমের তানায়(শাড়ি তৈরির সুতার কুণ্ডলী) পোকার আক্রমন মারাত্মক ক্ষতি করে। এরপরই বন্যার পানিতে তাঁত সরঞ্জামাদীগুলো বিনষ্ট হয়ে যায়।


আক্ষেপের সুরে নারী উদ্যোক্তা লাবনী বসাক জানান, বাতাঁবো’র স্থানীয় তাঁতি সমিতির সদস্য তিনি। করোনাকালে ঋণ তো দূরের কথা তাকে কেউ জিজ্ঞাসাও করতে আসেনি।

তার ফ্যাক্টরীতে ১০টি তাঁতে শাড়ি উৎপাদনের সাথে সরাসরি জড়িত অন্তত ৩০টি পরিবার দীর্ঘ সময় কর্মহীন ছিল। তিনি সাধারণত জামদানী শাড়ি তৈরি করেন। এনজিও থেকে চড়াসুদে ঋণ নিয়ে ১০টি তাতের মধ্যে ৮টিতে শাড়ি উৎপাদনের ব্যবস্থা করেছেন।

তিনি জানান, তার বাবা স্বর্গীয় মোহন বসাক কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুরের বাসিন্দা। তিনি পৈত্রিকসূত্রে তাঁতশিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৮৫ সালে পাথরাইলের নকুল বসাকের সাথে তার বিয়ে হয়। তখন তিনি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তার স্বামীও তাঁতশিল্পের সঙ্গে যুক্ত।

বিয়ের কিছুদিন পর অসুস্থতার জন্য তার স্বামী নকুল বসাকের শরীরে অপারেশন করায় তিনি এখন কিছুই করতে পারেন না। পুরো পরিবারকে চালিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব তার কাঁধে এসে পড়ে। দৃঢ়হাতে তিনি স্বামীর তাঁত ফ্যাক্টরীর হাল ধরেন।

সুতা আনা, চরকায় সুতা কাটা, কারিগর(তাঁত শ্রমিক) ঠিক করা, শাড়ি কেনার বাড়িতে আসা মহাজনদের সাথে দরদাম করা এক কথায় সবই তাকেই সামলাতে হয়। তার ফ্যাক্টরীতে উৎপাদিত জামদানী কিনতে পাইকাররা সাধারণত বাড়িতে এসে নিয়ে যায়। প্রতি পিস জামদানী তিনি ২৫০০-২৭০০ টাকায় বিক্রি করে থাকেন।


তার চার মেয়ের মধ্যে বীথি বসাক ও যুথি বসাককে উচ্চ শিক্ষিত করে বিয়ে দিয়েছেন। অপর মেয়ে পুজা বসাক সরকারি সা’দৎ কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা নিয়ে পড়ালেখা করছে। ছোট মেয়ে মুক্তা বসাক চলতি বছর পাথরাইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে।


একই এলাকার অপর নারী উদ্যোক্তা বাসন্তী সূত্রধরের বয়স ৩৮ বছর। তার বাবা সুনীল সূত্রধর নাগরপুরের বেকরা গ্রামের বাসিন্দা। ২০০১ সালে পাথরাইলের গোবিন্দ সূত্রধরের সাথে তার বিয়ে হয়।

তার স্বামী গোবিন্দ সূত্রধর টাঙ্গাইল শাড়ির রাজধানীতে বসবাসের কারণে ছোটবেলা থেকেই একজন তাঁত শ্রমিক। তারা তিন মেয়ে ও এক ছেলের জনক-জননী।


তিনি জানান, স্বামীর পেশাকে ভালোবেসে তিনি তাঁতশিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে চরকার সুতা কাটতেন, পরে শাড়ির ড্রপ(বাড়তি সুতা) কেটেছেন। এতে সংসারে কিছুটা হলেও সহযোগিতা হতো। কিন্তু আয়টা পর্যাপ্ত ছিলনা। স্বামীর সাথে পরামর্শ করে তাঁত কিনেন। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ির একটি ঘরে ৬টি তাঁত বসিয়ে ফ্যাক্টরী করেন।

তিনি মূলত চায়না রেশম সুতায় সিল্ক শাড়ি তৈরি করেন। প্রতি পিস শাড়ি ১৮০০-২২০০ টাকায় বিক্রি করেন। তার ফ্যাক্টরীতে কারিগর(তাঁত শ্রমিক) সহ ১৮টি পরিবারের কর্মসংস্থান হয়। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনার থাবায় অন্যদের মতো তিনিও ক্ষতিগ্রস্ত।

করোনা ভাইরাসের করাল থাবা তাঁতশিল্পকে পঙ্গু করে দিয়েছে। অবশ্য বাতাঁবো’র প্রাথমিক সমিতির মাধ্যমে তিনি এক লাখ ২০ হাজার টাকা ঋণ পেয়েছেন। তা দিয়েই করোনা পরবর্তী সংকট মোকাবেলার চেষ্টা চালাচ্ছেন।


তিনি জানান, তার বড় মেয়ে প্রীতি সূত্রধর টাঙ্গাইলের সরকারি কুমুদিনী কলেজে এইচএসসিতে পড়ালেখা করছে। মেঝ মেয়ে স্মৃতি সূত্রধর পাথরাইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। ছোট মেয়ে তনুশ্রী সূত্রধর পাথরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে।


তিনি আরও জানান, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের হাজারো সমস্যা। আর নারী হলে তো কথাই নেই। নারীকে কর্মক্ষম দেখতে আমাদের সমাজ এখনও অভ্যস্ত হয়ে ওঠেনি। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হলেও তিনি প্রাথমিক তাঁতি সমিতির সদস্য নন। করোনার প্রথম ধাপের পর তার স্বামী সমিতির সদস্য হিসেবে তাঁতঋণ পেয়েছেন।


স্থানীয় তাঁত শিল্পের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ও বন্যার ধকল কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প। দুর্যোগকালীন সরকারি প্রণোদনা না পাওয়ায় লক্ষাধিক তাঁত শ্রমিক ও চার হাজারেরও বেশি তাঁত মালিক বেকার হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড (বাতাঁবো) ঋণ সহযোগিতা না করায় দেখা দিয়েছে পুঁজি সংকট। এতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক তাঁত মালিকরা শাড়ি উৎপাদনে যেতে পারছেন না। অনেকেই বাধ্য হয়ে ঝুঁঁকে পড়ছেন ভিন্ন পেশায়।


টাঙ্গাইল জেলায় তাঁত শিল্প ও তাঁতিদের উন্নয়নের জন্য স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের (বাতাঁবো) দুটি বেসিক সেণ্টার রয়েছে।

এর মধ্যে কালিহাতী, ভূঞাপুর, ঘাটাইল, গোপালপুর, মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার জন্য কালিহাতীর বল্লায় একটি এবং টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার, নাগরপুর, বাসাইল, সখীপুর ও মির্জাপুর উপজেলার জন্য টাঙ্গাইল শহরের বাজিতপুরে একটি বেসিক সেণ্টার।


টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শাড়ির পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। একসময় বাংলাদেশের খ্যাতি ও গৌরব ছিল মসলিন এবং জামদানির জন্য। এর মধ্যে জামদানি টিকে থাকলেও মসলিন ইতিহাসের পাতায় বন্দি। তবে মসলিন ও জামদানির পর দেশীয় বস্ত্র খাতে টাঙ্গাইল শাড়ি নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়। টাঙ্গাইল শাড়ির নকশা, বুনন ও রঙের ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈচিত্র্য রয়েছে। সাধ্যের মধ্যে দাম আর বাহারি কারুকাজ খচিত হওয়ায় টাঙ্গাইল শাড়ি সব সময় নারীদের পছন্দের শীর্ষে। ফলে টাঙ্গাইল শাড়ি দেশের সীমানা পেরিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এমনকি ইউরোপ, আমেরিকা এবং জাপানেও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, তাঁতশিল্প একটি সম্ভাবনাময় শিল্প। স্থানীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখা এ শিল্পের মূল সমস্যা পুঁজি বা মূলধন ও বাজারজাতকরণ পদ্ধতি। এছাড়া পৃথক তাঁতশিল্প এলাকা ও তাঁতিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাও জরুরি।


তাঁত বোর্ডের কালিহাতী বেসিক সেণ্টারে ১৭টি প্রাথমিক তাঁতি সমিতির এক হাজার ৮৮৪ জন ক্ষুদ্র তাঁত মালিকের ২১ হাজার ৯৭৩টি তাঁত রয়েছে। টাঙ্গাইল সদর (বাজিতপুর) বেসিক সেন্টারে ৩২টি প্রাথমিক তাঁতি সমিতির দুই হাজার ২৬৭ জন ক্ষুদ্র তাঁত মালিকের ১২ হাজার ৪২৯টি তাঁত রয়েছে। এসব তাঁতের চার হাজার ১৫১ জন ক্ষুদ্র তাঁত মালিকের অধীনে এক লাখ তিন হাজার ২০৬জন তাঁত শ্রমিক জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।

এর মধ্যে ৩৪ হাজার ৪০২ জন নারী এবং ৬৮ হাজার ৮০৪ জন পুরুষ রয়েছেন। তাঁত মালিক তথা তাঁত শিল্পের নারী উদ্যোক্তাদের সঠিক কোন পরিসংখ্যান বাতাঁবোর কাছে নেই। তবে তাঁত মালিকদের কাছ থেকে জানা যায়, জেলার তাঁত শিল্পে নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা প্রায় দেড়শ’।


টাঙ্গাইল সেণ্ট্রাল কো-অপারেটিভ আর্টিজেন্স ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানান, জেলায় তাঁতের সংখ্যা দেড় লক্ষাধিক। বাতাঁবোর বেসিক সেণ্টার শুধু তাদের সমিতির সদস্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক তাঁতি ও তাঁত সংখ্যার পরিসংখ্যান দিয়ে থাকে। তাদের সমিতির বাইরেও তাঁত ও তাঁতি রয়েছে।

কালিহাতী উপজেলার বল্লা, রামপুর, মমিননগর, কোকডহড়া, দত্তগ্রাম, বেহেলাবাড়ী, ভরবাড়ী, টেঙ্গুরিয়া, ঘোনাবাড়ী, ছাতিহাটি, দড়িখশিল্লা, তেজপুর, কাজীবাড়ী, সহদেবপুর; দেলদুয়ার উপজেলার চন্ডি, পাথরাইল, পুটিয়াজানী, রূপসী; টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া, চরকাকুয়া, চরপৌলী, হুগড়া ইত্যাদি এলাকায় তাঁতিদের সংখ্যা বেশি।


বাতাঁবোর স্থানীয় বেসিক সেণ্টারের কর্মকর্তা, তাঁত মালিক, তাঁত শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একটি তাঁতে ন্যূনতম তিনজন নারী-পুরুষ প্রত্যক্ষভাবে শ্রম দিয়ে থাকেন। তিন জনের মধ্যে আবার একজন নারী। একজন তাঁতে কাপড় বুনে, একজন চড়কায় কাপড় বুননের সুতা (নলি বা ছিটা) কাটেন, একজন কাপড়ের নকশার সুতা কটেন (ড্রপ কাটা)।

এছাড়া সুতা রঙ করা, শুকানো, পাটিকরা, তানার সুতা কাটা, ড্রাম থেকে ভিমে সুতা পেঁচানো, তানা সাজানো, মালা বা নকশার ডিজাইন তোলা, কাপড় ভাঁজ করা, পেটি করা এবং বাজারজাত ও আনা-নেওয়ার জন্যও শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। অধিকাংশ ক্ষুদ্র তাঁত মালিক নিজেরা প্রয়োজন অনুযায়ী শ্রম দিয়ে থাকেন। কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শ্রম দেন। তাঁত শিল্পের শ্রমিকদের সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে মজুরি দেওয়া হয়।


টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের সঙ্গে জড়িত উদ্যোক্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক তাঁতি সমিতির নেতৃবৃন্দ, সুতা ও রঙ(কেমিকেল) ব্যবসায়ী সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, বাতাঁবো তাঁত প্রতি ৫০ হাজার টাকা ঋণ দিয়ে থাকে। ওই টাকা পর্যাপ্ত নয়। একটি তাঁত বসানোর পর আনুসঙ্গিক সংযুক্তি শেষে শাড়ি উৎপাদনে যাওয়া পর্যন্ত অন্তত এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ হয়। তারপরও ঋণ পেতে রয়েছে নানা জটিলতা রয়েছে।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে- সময় ক্ষেপন ও অনিহা। মাসের পর মাস ঘুরেও অনেক সময় ঋণ পাওয়া যায়না। এক মাসে ঋণ অনুমোদনের রেকর্ড তাঁতবোর্ডে নেই। প্রাথমিক সমিতি, মাধ্যমিক সমিতি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তাঁতবোর্ডের ফিল্ড সুপারভাইজারদের তদন্তের পর আবার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত করে থাকেন।

বার বার তদন্তের ভারে তাঁত ঋণ এখন অনেটাই ন্যূব্জ। ফলে নানা সমস্যা কাটিয়ে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প ঘুরে দাঁড়ানো অনেকটা দূরূহ হয়ে পড়েছে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno