প্রথম পাতা / ছবি /
করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার ফি কমালো সরকার
By দৃষ্টি টিভি on ১৯ আগস্ট, ২০২০ ৮:০২ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
করোনা ভাইরাস জনিত রোগ (কোভিড-১৯) শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার ফি কমিয়েছে সরকার। এখন থেকে সরকারি বুথগুলোতে ২০০ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকায় নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। আর বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহের ফি ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরীক্ষার একটি ল্যাব থেকে ৮৭টি ল্যাব হয়েছে। ল্যাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ার কথা ছিল।
না বাড়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা পরীক্ষা করতে আগ্রহ কমে গেছে।
কারণ, আক্রান্ত অনেকেই ঘরে থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন। অনেকেই মনে করেছেন পরীক্ষার কী প্রয়োজন। আবার বন্যার কারণেও কিছুটা পরীক্ষার হার কমে গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে কিছু তথ্য আছে, সরকার যে ফি নির্ধারণ করেছে সে কারণে অনেক গরিব লোক পরীক্ষা করতে কিছুটা আগ্রহ হারিয়েছেন। এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি, উনার একা নির্দেশনা আমরা নিয়েছি।
‘এখন থেকে ২০০ টাকার যে ফি নেওয়া হতো সেটা কমিয়ে এখন থেকে ১০০ টাকা করা হলো। যারা সেন্টারে বা ল্যাবে গিয়ে পরীক্ষা করাবেন। আর বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা করা হলে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা ফি আরোপ হবে। আমরা আশা করি এখন টেস্টের সংখ্যা বাড়বে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ইচ্ছা টেস্ট বেশি করে হোক এবং সংক্রমিত ব্যক্তিরা সেবার আওতায় আসুক যাতে তারা সংক্রমণ না ছড়ায়। কিন্তু টেস্টের সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। আমাদের এখন যথেষ্ট ল্যাব আছে, কিটসের কোনো অভাব নাই।
কবে থেকে নতুন ফি কার্যকর হবে? জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রী বলেন, দুই-একদিনের মধ্যে এটি কার্যকর হবে। সার্কুলার দিতে যতটুকু সময় লাগবে।
ল্যাবের সংখ্যা বাড়ানো হবে কিনা? প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, যাতে প্রতিটি জেলায় ল্যাব হয়, সেই পরিকল্পনা আছে।
এন্টিজেন বা এন্টিবডি টেস্টের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা? প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে অতি শিগগিরই সিদ্ধান্ত পেয়ে যাবেন। আমরা এটা পজিটিভলি দেখছি। যেটা আমাদের ও দেশের জন্য ভালো হবে সেটাই করবো।
ভ্যাকসিন আমদানির আপডেট জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা সবদিকে খোঁজখবর রাখছি। চীন, রাশিয়া, অক্সফোর্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি কোম্পানি চেষ্টা করছে। আমরা ভ্যাকসিনের বিষয়টি নিয়ে সজাগ আছি।
প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছি, উনিও অবহিত হচ্ছেন। আমরা যখন সিদ্ধান্ত পেয়ে যাবো তখন জানাবো। আমরা ভ্যাকসিনের বিষয়ে তৎপর আছি। আমাদের জন্য সবচেয়ে কোনোটা ভালো, কে দিতে পারবে, চাহিদা কেমন, সব বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবো।
কোভিড হাসপাতাল কমানো হচ্ছে কিনা? প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, কোভিড হাসপাতালে অনেক সিট খালি আছে, এখন নন-কোভিডরোগী বেড়ে যাচ্ছে। কোভিডরোগীর সংখ্যাও কমে গেছে।
‘সে কারণে আমাদের সিদ্ধান্ত, কিছু কিছু হাসপাতালকে নন-কোভিড ডিক্লারেশন করে দেওয়া। যারা নন-কোভিডরোগী তাদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় তাদের সেবা দিতে হবে।
সে কারণে ঢাকাসহ সারাদেশে কিছু কোভিড হাসপাতালকে নন-কোভিড করবো। আর কিছু শুধু কোভিড হাসপাতাল থাকবে। কারণ, কোভিড তো দেশ থেকে এখনও চলে যায়নি।’
তালিকা এখনও চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ মাসের মধ্যে তালিকা চূড়ান্ত করার নির্দেশ আমরা দিয়েছি। এটা পর্যায়ক্রমে হবে, একেবারে সব না। ফেসওয়াইজ আমরা নন-কোভিড হাসপাতাল ঘোষণা করবো।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
কালিহাতীতে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই গাড়িতে আগুন, নিহত ১
-
মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসায় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া
-
যমুনার বুকে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পৌনে চার কিমি দৃশ্যমান
-
টাঙ্গাইলে ৯৬৬ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক ৪
-
টাঙ্গাইলে ভিডিপি সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
-
টাঙ্গাইলে ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ
-
টাঙ্গাইলে দুই দফা দাবিতে ইণ্টার্ন চিকিৎসকদের মানববন্ধন
-
কালিহাতীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন