প্রথম পাতা / অপরাধ /
কালচার অফিসার হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
By দৃষ্টি টিভি on ২৮ মার্চ, ২০২২ ৮:১৮ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সাবেক জেলা কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামের নৃশংস হতাকান্ডের একমাত্র আসামি তার স্বামী মিজানুর রহমানের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ মার্চ) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে জেলা সাংস্কৃতিক কর্মী কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন- জেলা সাংস্কৃতিক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি জাকির হোসেন, প্রধান পরামর্শক এলেন মল্লিক, কার্যকরী সভাপতি বিপ্লব দত্ত পল্টন, পরামর্শক ফিরোজ আহমেদ বাচ্চু, সদস্য জহুরুল ইসলাম, মনোয়ারা বেগম, শাহনাজ সিদ্দিকী মুন্নী, ঝান্ডা চাকলাদার, কবি ডলি সিদ্দিকী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা সম্প্রতি সিআইডি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ঘাতক স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিজানের ফাঁসি দাবি করেন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহমেদ জানান, গত ১৩ মার্চ টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট(মির্জাপুর ও বঙ্গবন্ধু থানা) আমলী আদালতে দেলোয়ার হোসেন মিজান আত্মসমর্পন করেন। আদালতের বিচারক বাদল কুমার চন্দ তার জামিন নামঞ্জুর করে সিআইডি পুলিশের করা আবেদনে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শেষে পুনরায় সিআইডি রিমান্ডের আবেদন করে। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আবার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
টাঙ্গাইল সিআইডি’র পুলিশ পরিদর্শক মো. বাবর আলী জানান, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পন করেন টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সাবেক জেলা কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম হতাকান্ডের একমাত্র আসামি দেলোয়ার হোসেন মিজান।
এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৩ মার্চ টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট(মির্জাপুর ও বঙ্গবন্ধু থানা) আমলী আদালতে আত্মসমর্পন করেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করে সিআইডি। আবেদনে আসামির দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে আবার সিআইডি’র আবেদনে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ২৪ মার্চ তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ মার্চ মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন রেদওয়ানা ইসলাম। ২৭ মার্চ বিকালে হাসপাতালের দোতলার ১১ নম্বর কেবিন থেকে মুখে বালিশচাপা ও গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রেদওয়ানা ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে মির্জাপুর থানা পুলিশ। দাম্পত্য কলহের জেরে সন্তান প্রসবের পাঁচদিন পর ২৭ মার্চ মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের কেবিনে স্বামী মিজান রেদওয়ানাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে তার পরিবার দাবি করে।
ঘাতক স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিজান পাবনা সদর থানার হেমায়েতপুর চরভাঙ্গারিয়া গ্রামের মো. এলাহী মোল্লার ছেলে। তিনি স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক ভোলা সদরের মহাজনপট্টি শাখায় কর্মরত ছিলেন।
জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি টাঙ্গাইলের সাবেক জেলা কালচারাল অফিসার নিহত খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম রংপুর সদর থানার ইসলামপুর হনুমানতলার মৃত খন্দকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
এরপর ওই বছরের ২৮ মার্চ নিহতের ছোট ভাই খন্দকার আরশাদুল আবিদ বাদি হয়ে রেদওয়ানার স্বামী মিজানকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান গা ঢাকা দেয়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
কালিহাতীতে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই গাড়িতে আগুন, নিহত ১
-
মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসায় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া
-
যমুনার বুকে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পৌনে চার কিমি দৃশ্যমান
-
টাঙ্গাইলে ৯৬৬ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক ৪
-
টাঙ্গাইলে ভিডিপি সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
-
টাঙ্গাইলে ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ
-
টাঙ্গাইলে দুই দফা দাবিতে ইণ্টার্ন চিকিৎসকদের মানববন্ধন
-
কালিহাতীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন