আজ- ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  দুপুর ২:০১

কালিহাতীতে জিডি করার পর আ’লীগ নেতা সন্ত্রাসী হামলার শিকার

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে প্রাণনাশের হুমকিতে থানায় জিডি করার পর প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন সহদেবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আ. মোতালেব তালুকদার(৫৫)। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় তার চাচাত ভাই মো. সাইফুল ইসলাম(৩৩) ও ভাতিজা কামাল হোসেনকেও(২৮) পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও কৃষক দলের নেতা আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে ১৪-১৫ সন্ত্রাসী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই হামালা চালায়।
জানাগেছে, সহদেবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও কৃষক দল নেতা মো. আমজাদ হোসেন ওই ছুনটিয়া গ্রামে ফসলী জমির মাঝখানে মেসার্স ভাই ভাই ব্রিকস নামে একটি নতুন ইটভাটা নির্মাণের উদ্যোগ নেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কচি-কাঁচা শিক্ষার্থী ও এলাকায় জন সাধারণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সহদেবপুর ইউনিয়নের ছুনটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সভাপতি ও ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ. মোতালেব তালুকদার উদ্যোগ নেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেন এবং ইটভাটা বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন(৩৬২৯/২০১৭ইং) দায়ের করেন। রিট পিটিশনে ওই ইটভাটার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। আমজাদ হোসেন ওই রিট পিটিশনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগের শরনাপন্ন হলেও স্থগিতাদেশ বহাল থাকে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। ওই শত্রুতার জের ধরে মো. আমজাদ হোসেন গত ১৯ ডিসেম্বর স্থানীয় আ’লীগের সভাপতি আ. মোতালেব তালুকদারকে ওই রিট পিটিশন প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধ করেন। অন্যথায় খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেন। আ. মোতালেব তালুকদার গত ২০ ডিসেম্বর এ বিষয়ে কালিহাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি(জিডি নং-৯৪৭, তাং-২০/১২/২০১৭ইং) দায়ের করেন। জিডি দায়ের করে বাড়ি ফেরার পথে ওইদিনই সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ছুনটিয়া গ্রামের গফুরের বাড়ির কাছে সরকারি সড়কে ছুনটিয়া গ্রামের মৃত মুনসব আলীর ছেলে বিএনপি নেতা মো. আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি দলীয় ১৪-১৫জন ব্যক্তি ওৎপেতে থেকে আ. মোতালেব তালুকদার, তার চাচাত ভাই মো. সাইফুল ইসলাম ও ভাতিজা কামাল হেসেনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা চাপাতি, দা, লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাদেরকে মারাতœকভাবে আহত করে। মোতালেব হোসেন তালুকদারদের আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় মুমুর্ষূ অবস্থায় আ. মোতালেব তালুকদার, মো. সাইফুল ইসলাম ও কামাল হোসেনকে উদ্ধার করে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে আ. মোতালেব তালুদকারের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে টাঙ্গাইল জেরারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে আ. মোতালেব তালুদকার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে মো. সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে ১২ জনের নামোল্লেখ করে কালিহাতী থানায় গত ২২ ডিসেম্বর একটি মামলা(নং-৩১, তাং-২২/১২/২০১৭ইং) দায়ের করেন।
মামলার বাদি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আওয়ামীলীগের শাসনামলেও বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাতে আওয়ামীলীগের কর্মীরা হামলার শিকার হয়- এটা খুবই অনুতাপের। মামলা দায়ের করা হলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ পুলিশ কিছু বলছে না। তিনি চিহ্নিত দুস্কৃতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মেসার্স ভাই ভাই ইটভাটার মালিক ও বিএনপি নেতা মো. আমজাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া গেলেও এ বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সহদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বালা জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। ফসলী জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করার বিপক্ষে এলাকার সাধারণ জনগণ। আদালতের সিদ্ধান্ত সবাই মানতে বাধ্য। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা মোটেই উচিত হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাসির উদ্দিন জানান, মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি ছুটিতে রয়েছেন। থানায় যোগদানের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno