আজ- ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  বিকাল ৪:২৭

কালিহাতীতে পিডিবি’র ভূয়া বিলে ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুরের প্রায় ২ হাজার গ্রাহক পিডিবি’র ভূয়া বিলের কারণে বছরের পর বছর চরম ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন। অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। ভূয়া বিদ্যুৎ বিল বন্ধ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বেরিপটল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মানববন্ধন শেষে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক, বেরিপটল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম মিয়া, ইউপি সদস্য মুছা মন্ডল, ইসরাইল হোসেন, সিদ্দিক মন্ডল, আমজাদ হোসেন, সুরমান হোসেন, আব্দুল লতিফ, সাদেক আলী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছেন দুর্গাপুর ইউনিয়নের বেরিপটল পূর্বপাড়া, বেরিপটল পশ্চিম পাড়া, ভৈরববাড়ি, রামদেবপুর, চরহামজানী ও চরদুর্গাপুর আরো কয়েকটি গ্রামের প্রায় ২ হাজার গ্রাহক।
২০১৩ সালে গ্রামগুলো বিদ্যুতায়ন হওয়ায় পর থেকে শুরু হয়েছে ভূয়া বিল। ব্যবহারকৃত ইউনিটের চেয়ে প্রত্যেক গ্রাহকের বিল দ্বিগুণ-তিনগুণ পরিমাণ ধার্য করা হয়। ব্যবহার না করেও প্রতিমাসে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল প্রদান করতে গ্রাহকরা বাধ্য হচ্ছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার না দেখেই চায়ের দোকানে বসে গড়-পড়তা ধার্য করা হয় বিলের ইউনিটের পরিমাণ।
সরেজমিনে ভোগান্তি শিকার বেরিপটল গ্রামের আব্দুল আজিজ বলেন, আমার মিটারের বর্তমান ইউনিট ১৪১২, কিন্তু বিদ্যুৎ বিলে দেখানো হয়েছে ২৯১৫ ইউনিট। কদ্দুস মিয়ার মিটারের বর্তমান ইউনিট ১২৭৬, কিন্তু বিল করা হয়েছে ৩৪৩০ ইউনিট দিয়ে। আব্দুল হালিম নামের আরেক গ্রাহক জানান, তিনি একটি মাত্র বাতি ও ফ্যান ব্যবহার করেন। তার প্রতিমাসে বিল আসে হাজার টাকার উপরে। এরকম অভিযোগ শত শত গ্রাহকের। এই চিত্র জেলার পিডিবি আওতাভুক্ত প্রায় সকল এলাকার।
ভূক্তভোগী গ্রাহকরা আরো জানায়, স্থানীয় স্বাধীন মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন, নাছির উদ্দিন ও জুয়েল রানা বিদ্যুৎ অফিসের হয়ে এলাকায় কাজ করে। এরা নিজের ইচ্ছেমত ইউনিট বসিয়ে বিল তৈরি করে। ঘুষের বিনিময়ে কারো বিল কমিয়ে দেয় আবার কারো বাড়িয়ে দেয়। এবিষয়ে তারা বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করেছিলেন, কিন্তু কোন কাজ হয়নি। ভূয়া বিলের মাধ্যমে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওরা। যা বছরে ৬ লাখ ১২ হাজার এবং ৫ বছরে ৩ কোটি টাকার উপরে।
মানববন্ধন শেষে সমাবেশে কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক সাংবাদিকদের বলেন, আমার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কমপক্ষে ২ হাজার পিডিবির গ্রাহক রয়েছেন। তারা প্রতিমাসে ভূয়া বিল দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ভূয়া বিদ্যুৎ বিল তৈরির সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি। সেইসাথে মিটার দেখে বিল না করা হলে ভুক্তভোগিরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
টাঙ্গাইল পিডিবি’র-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মুন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং তাদের নিয়োগকৃত লোক দ্বারা ওই এলাকার বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত ও বিতরণ করে। বিলে ভূল-ত্রুটি থাকলে সেটা আমাদের নয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়-দায়িত্ব। গ্রাহকদের নিকট থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno