আজ- ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  সন্ধ্যা ৬:১৫

কালিহাতীর এলেংজানী নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভাধীন এলেংজানী নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। ফলে হুমকিতে পড়েছে স্কুল, মসজিদ ও বসতবাড়ি।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, কালিহাতী উপজেলার পাথাইল কান্দি ও ধলাটেংগরে ১৫টি ড্রেজার বসিয়ে অবাধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন চরভাবলা গ্রামের ফরজ আলী, ধলাটেংগর গ্রামের আজিমুদ্দিন, ফটিক, দিঘলাপাড়া গ্রামের রাজ্জাক ও আলমগীর। এসব এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাথাইলকান্দি গ্রামের মসজিদটি বর্ষা মৌসুমে ধ্বসে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বালু খেকোরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় নদীর দু’পাড়ে বসবাসরত দরিদ্র পরিবারগুলো তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। স্থানীয়রা জানায়, প্রভাবশালী ফরজ আলী দীর্ঘদিন যাবৎ নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন পূর্বক স্তুপ করে ভেকু দিয়ে শ’ শ’ ট্রাক বালু সরবরাহ ও বিক্রি করে শূন্য থেকে কোটিপতি বনেছেন। স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে দু-একটি ড্রেজার পুড়িয়ে দিলেও কিছুক্ষণ পরেই পুনরায় ড্রেজার মেশিন স্থাপন করে পুনরায় দেদারছে এ অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েক ব্যক্তি জানায়, ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে তাদের বসতবাড়িগুলো বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের অভিযোগ, সকল বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন ও এলেঙ্গা পৌর ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে এ অবৈধ ড্রেজার দীর্ঘদিন যাবৎ চালাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, অবৈধ বাংলা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে পাইপ লাগিয়ে বালু উত্তোলন ও ভেকু দিয়ে ট্রাক ভর্তি করে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ ২০১০ সালের বালু মহাল আইনে বলা হয়েছে, ‘বিপননের উদ্দেশে কোন উন্মুক্ত স্থানে ও নদীর তলদেশ থেকে বালু-মাটি উত্তোলন করা যাবে না’। কিন্তু এ নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ফরজ আলী গংরা কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করে, অবৈধ বালু উত্তোলনের ব্যবসা বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তারা বার বার জানালেও তা বন্ধ হয়নি। শুধুমাত্র ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হলে ওই সময় বা দু’-একদিন বালু উত্তোলন বন্ধ রাখা হয় এবং সুযোগ বুঝে তা পুনরায় চালু করা হয়।
এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) অমিত দেবনাথ জানান, এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno