আজ- ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার  রাত ১:২২

গোপালপুরে ছিনতাইকালে পাঁচ পুলিশ গণপিটুনির শিকার ॥ পুলিশের দাবি ভুল বোঝাবুঝি

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের চাতুটিয়া গ্রামে এক গরু ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইকালে পাঁচ পুলিশ সদস্য গণপিটুনির শিকার হলেও পুলিশের তরফ থেকে বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি বলে দাবি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল চাতুটিয়া গ্রামের আফজাল, মজিবর ও সুভলা বেগমসহ এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় দিনই গোপালপুর থানা পুলিশের কয়েকটি দল সিএনজি নিয়ে এলাকায় অভিযান চালানোর নামে যুবক ও তরুণ ছেলেদের আটক করে তল্লাসী চালায়। তল্লাসিকালে বেশির ভাগ সময় যুবকদের পকেটে ইয়াবা অথবা গাঁজা ঢুকিয়ে দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করেন ওই পুলিশ সদস্যরা। এরই সূত্র ধরে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গোপালপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ আলীর নেতৃত্বে পাঁচ পুলিশ সদস্য এক গরু ব্যবসায়ীকে আটক করে তল্লাসী চালিয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাছে থাকা ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। ছিনতাই শেষে সিএনজি নিয়ে চলে যাওয়ার সময় ডাক-চিৎকার শুরু করেন ওই গরু ব্যবসায়ী। এ সময় স্থানীয়রা সিএনজিটি আটক করে পুলিশের সাদা পোশাকধারী ওই পাঁচ সদস্যকে গণপিটুনি দেয় ও ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধার করে। এ গণপিটুনি থেকে রক্ষা পেতে ওই পাঁচ পুলিশ সদস্য দৌঁড়ে হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার জয়নালের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পুলিশের উপর গণধোলাইয়ের সংবাদ পেয়ে গোপালপুর থানা পুলিশ ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সদস্য আটক ও মারধর করার ক্ষোভে এ সময় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ভাংচুর চালায়। এ নিয়ে এলাকায় চরম পুলিশি আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার(৫ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের উপস্থিতির খবর পেয়ে গোপালপুর থানার ওসিসহ প্রায় ২০ পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করে সাধারণ মানুষের বক্তব্য আদায়ের চেষ্টা চালান। তবে পুলিশের উপস্থিতির আগেই সাংবাদিকদের কাছে ছিনতাইকালে ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে গণপিটুনি দেয়াসহ ঘটনার পূর্বাপর বর্ণনা দেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
গণপিটুনির শিকার ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে গ্রামবাসীর হাত থেকে রক্ষা করা হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার জয়নাল ও তার ছোট ভাই নওজেস আলী ঘটনাটি সত্য বলে নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কতিপয় সিএনজি চালিত অটো রিকশা শ্রমিক নেতা জানান, গণপিটুনির শিকার এসআই আশরাফ এ ধরনের কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য মাসিক চুক্তিতে একটি সিএনজি ভাড়া করে রেখেছেন। এ সময় তিনি আরো জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রামের অনেক বৃদ্ধ ব্যক্তিকেও মারধরের অভিযোগ রয়েছে।
ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত গণপিটুনির শিকার ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে থানা পুলিশ ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার পায়তারা চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসী। পুলিশের ভাবমুর্তি রক্ষায় ছিনতাইয়ের মত অপরাধে জড়িত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার সাগর আলী জানান, ছিনতাইকালে সাদা পোশাকধারী পাঁচ পুলিশ সদস্যকে গণপিটুনি দিয়েছে গ্রামের লোকজন।
এ প্রসঙ্গে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) হাসান আল মামুন দাবি করেন, ছিনতাইকালে কোন পুলিশ সদস্য জনগণের হাতে আটক বা গণপিটুনির শিকার হয়নি। তবে গ্রামবাসীর সাথে ওই পুলিশ সদস্যদের কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
েগোপালপুরে ছিনতাইকালে পাঁচ পুলিশ গণপিটুনির শিকার ॥ পুলিশের দাবি ভুল বোঝাবুঝি
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের চাতুটিয়া গ্রামে এক গরু ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইকালে পাঁচ পুলিশ সদস্য গণপিটুনির শিকার হলেও পুলিশের তরফ থেকে বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি বলে দাবি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল চাতুটিয়া গ্রামের আফজাল, মজিবর ও সুভলা বেগমসহ এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় দিনই গোপালপুর থানা পুলিশের কয়েকটি দল সিএনজি নিয়ে এলাকায় অভিযান চালানোর নামে যুবক ও তরুণ ছেলেদের আটক করে তল্লাসী চালায়। তল্লাসিকালে বেশির ভাগ সময় যুবকদের পকেটে ইয়াবা অথবা গাঁজা ঢুকিয়ে দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করেন ওই পুলিশ সদস্যরা। এরই সূত্র ধরে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গোপালপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ আলীর নেতৃত্বে পাঁচ পুলিশ সদস্য এক গরু ব্যবসায়ীকে আটক করে তল্লাসী চালিয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাছে থাকা ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। ছিনতাই শেষে সিএনজি নিয়ে চলে যাওয়ার সময় ডাক-চিৎকার শুরু করেন ওই গরু ব্যবসায়ী। এ সময় স্থানীয়রা সিএনজিটি আটক করে পুলিশের সাদা পোশাকধারী ওই পাঁচ সদস্যকে গণপিটুনি দেয় ও ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধার করে। এ গণপিটুনি থেকে রক্ষা পেতে ওই পাঁচ পুলিশ সদস্য দৌঁড়ে হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার জয়নালের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পুলিশের উপর গণধোলাইয়ের সংবাদ পেয়ে গোপালপুর থানা পুলিশ ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সদস্য আটক ও মারধর করার ক্ষোভে এ সময় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ভাংচুর চালায়। এ নিয়ে এলাকায় চরম পুলিশি আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার(৫ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের উপস্থিতির খবর পেয়ে গোপালপুর থানার ওসিসহ প্রায় ২০ পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করে সাধারণ মানুষের বক্তব্য আদায়ের চেষ্টা চালান। তবে পুলিশের উপস্থিতির আগেই সাংবাদিকদের কাছে ছিনতাইকালে ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে গণপিটুনি দেয়াসহ ঘটনার পূর্বাপর বর্ণনা দেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
গণপিটুনির শিকার ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে গ্রামবাসীর হাত থেকে রক্ষা করা হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার জয়নাল ও তার ছোট ভাই নওজেস আলী ঘটনাটি সত্য বলে নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কতিপয় সিএনজি চালিত অটো রিকশা শ্রমিক নেতা জানান, গণপিটুনির শিকার এসআই আশরাফ এ ধরনের কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য মাসিক চুক্তিতে একটি সিএনজি ভাড়া করে রেখেছেন। এ সময় তিনি আরো জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রামের অনেক বৃদ্ধ ব্যক্তিকেও মারধরের অভিযোগ রয়েছে।
ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত গণপিটুনির শিকার ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে থানা পুলিশ ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার পায়তারা চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসী। পুলিশের ভাবমুর্তি রক্ষায় ছিনতাইয়ের মত অপরাধে জড়িত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার সাগর আলী জানান, ছিনতাইকালে সাদা পোশাকধারী পাঁচ পুলিশ সদস্যকে গণপিটুনি দিয়েছে গ্রামের লোকজন।
এ প্রসঙ্গে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) হাসান আল মামুন দাবি করেন, ছিনতাইকালে কোন পুলিশ সদস্য জনগণের হাতে আটক বা গণপিটুনির শিকার হয়নি। তবে গ্রামবাসীর সাথে ওই পুলিশ সদস্যদের কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno