দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের চাঞ্চল্যকর দুই বছরের শিশু রাইসা হত্যার বিচার দাবিতে শুক্রবার(১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সকীপুর উপজেলা সদরের মুখতার ফুয়ারা চত্ত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে হতেয়া কেরানীপাড়া গ্রামবাসী।
স্থানীয় দুই শতাধিক ব্যক্তি পাঁচটি ট্রাক ও প্রায় ৫০টি মোটরসাইকেল নিয়ে ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে উপস্থিত হয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।
এতে বক্তব্য রাখেন, নিহত শিশু রাইসার মা লিপা আক্তার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খান রফিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আল মামুন, হতেয়া এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা প্রমুখ।
বক্তারা হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন। একই সঙ্গে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সুমা খানের মা ও ভাইকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
নিহত শিশু রাইসা ওরফে বুশরা উপজেলার হতেয়া কেরানীপাড়া গ্রামের ইরাক প্রবাসী রাজু খানের মেয়ে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া সুমা খান সম্পর্কে রাইসার প্রতিবেশি দাদি।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর সুমা খান ও তার স্বামী আরমান খানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিখোঁজের পাঁচ ঘণ্টা পর সোমবার(১৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে সখীপুর উপজেলার হতেয়া কেরানীপাড়া এলাকা থেকে রাইসার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে রাইসার মা লিপা আক্তার বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশ প্রতিবেশি আরমান খান(৩৫) ও তার স্ত্রী সুমা খানকে(২৫) মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করে। বুধবার(১৬ ডিসেম্বর) তাদেরকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়।
পরে টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সুমা খান দুই বছরের শিশু রাইসা হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
তবে সুমা খানের স্বামী আরমান খান আদালতে ওই হত্যার দায় অস্বীকার করেছেন।