আজ- ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার  বিকাল ৩:৪৮

চামড়ার সংকট উত্তরণের চেষ্টা :: ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির সুযোগ

 

দৃষ্টি নিউজ:

করোনাকালের আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালে দেশে কোরবানি পশুর চামড়া নিয়ে হযবরল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। দাম না পেয়ে ১০-১৫ শতাংশ গরুর চামড়া সড়কে ফেলে এবং মাটিতে পুঁতে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

আবার সময়মতো লবণ না দেওয়া, বৃষ্টি ও গরমের কারণেও ২০ শতাংশ গরুর চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। নষ্ট হওয়া চামড়ার আর্থিক মূল্য ছিল কমপক্ষে ২৪২ কোটি টাকা। ২০২০ সালের অবস্থাও ছিল তথৈবচ।

দু’বার পোড় খাওয়ার পর আবারও চামড়া নিয়ে বড় পরীক্ষার মুখোমুখি হতে চলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। চামড়া নিয়ে বিপর্যয়ের হ্যাটট্রিক হবে, নাকি সংকট কাটিয়ে উত্তরণ ঘটবে এ শিল্পের- এ চ্যালেঞ্জ মন্ত্রীর সামনে। যদিও বিপর্যয় রোধে এবার আগেভাগে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে তাঁর মন্ত্রণালয়।

গতবারের চেয়ে প্রতি বর্গফুটের গরুর চামড়া ৫ টাকা ও ছাগলের চামড়ার দাম ২ টাকা বাড়িয়ে ধরা হয়েছে। কোরবানি ঈদ সামনে রেখে চামড়া খাতে ৫৮৩ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

কোরবানির পর ৪৮ ঘণ্টার আগে জেলা শহর থেকে ঢাকায় যেন চামড়া ঢুকতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিতে জননিরাপত্তা বিভাগের সহায়তা চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

৩০ বছর পর ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান মোট এক কোটি বর্গফুট ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে।

এ ছাড়া কোরবানির চামড়ার ক্রয়-বিক্রয় তদারকির জন্য প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা বিভাগীয় কমিটি করা হয়েছে। সাভার, পোস্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং নাটোর জেলার জন্য আছে তদারকি দল।

২০১৯ সালে ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৫-৫০ টাকা। অথচ ঈদের দিন বিকেলে ঢাকায় ৩০০ থেকে ৮০০ টাকায় গরুর চামড়া বিক্রি হয়।

আবার পরদিন পুরান ঢাকার পোস্তার চামড়ার আড়তে বিক্রি হয় ১৫০-২০০ টাকায়। ঢাকার বাইরের চিত্র ছিল আরও ভয়াবহ। দাম না পেয়ে অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হন।

চামড়া নিয়ে নৈরাজ্যের পর ওই বছরের ২৮ আগস্ট সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, ‘চামড়া নিয়ে এবার আমার শিক্ষা হয়েছে। এবারের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় রেখে একটি পরিকল্পনা নিতে যাচ্ছি। যে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে কাঁচা চামড়া সংগ্রহে বড় ধরনের কোনো সংকট তৈরি হবে না।’

কিন্তু ২০১৯ সালের শিক্ষা কাজে লাগাতে পারেননি বাণিজ্যমন্ত্রী। তাই গতবারও(২০২০ সালে) কোরবানির পশুর চামড়ার দামে বিপর্যয় নামে।

ঈদের দিন পুরান ঢাকার চামড়া আড়ত পোস্তায় গরুর চামড়া আকারভেদে ১৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ছাগলের চামড়ার দাম ছিল ২ থেকে ১০ টাকা। বিনা পয়সায়ও ছাগলের চামড়া আড়তে রেখেও গেছেন কেউ কেউ।

চট্টগ্রামে গরুর চামড়া আকারভেদে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা বিক্রি হয়। সব মিলিয়ে অনেকটা পানির দরেই বিক্রি হয়েছে কোরবানির পশুর চামড়া। দাম না পেয়ে চামড়া নষ্টের ঘটনাও ঘটেছে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno