আজ- ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার  সকাল ১০:৫২

ঝিনাই নদীর ব্রিজ দেবে ১৮ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে!

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার দাপনাজোর এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত এলজিইডি’র ব্রিজ পানির প্রবল ¯্রােতে পিলারের নিচের মাটি সরে গিয়ে প্রায় দুই মাস আগে দেবে যায়। ফলে নদীর দু’পাড়ের ১৮-২০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। যাতায়াতের অন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় নেহায়েত প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছে ওই এলাকার মানুষ। বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার যান চলাচল।

সরেজমিনে স্থানীয়রা জানায়, দাপনাজোর এলাকার ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজটি বাসাইল উপজেলার আইসড়া, একঢালা, দোহার, দাপনাজোর, দেউলী, জশিহাটী, হাকিমপুর, মোড়াকৈসহ ১৮-২০টি গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের যোগাযোগের সেতুবন্ধন। এ সেতু বাণিজ্যিক কেন্দ্র করটিয়া, সরকারি সা’দত কলেজ ও টাঙ্গাইল জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন। ভূক্তভোগি এসব মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখার কেউ নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও নেই কোন পদক্ষেপ। তারা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যাচ্ছেন- এমন অভিযোগ ভূক্তভোগিদের।

জানা যায়, ১৯৯৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) এ ব্রিজটি নির্মাণ করে। নির্মাণকালেই নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। অতি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় নির্মাণ চলাকালে ব্রিজটির একটি প্যান ধ্বসে পড়ে। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়সারাভাবে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ করে। তার ওপর বালু খেকোদের অবৈধ ড্রেজার দিয়ে নিয়মিত বালু উত্তোলণ করা হয়। প্রতি বছর আশপাশে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলণের ফলে ব্রিজের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। ফলে প্রায় দুই মাস আগে ব্রিজটি দেবে যায়। সংশ্লিষ্টরা ব্রিজটি পরিদর্শন করলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। এলাকাবাসী জানায়, বর্তমানে ব্রিজটির অবস্থা খুবই ভয়াবহ। যে কোন সময় ব্রিজটি ধসে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তারা ব্রিজটির দ্রæত উন্নয়ন ও সংস্কার দাবি করেন।

স্থানীয় শফিকুল, পারভেজ, মনজু ও আলম মিয়াসহ ভূক্তভোগিরা জানান, প্রতি বছর ব্রিজের আশপাশসহ ঝিনাই নদীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে রাতদিন বালু উত্তোলণের ফলে তীরবর্তী এলাকায় ভিটাবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ঈদগাহ মাঠসহ এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ভিটাবাড়ি ইতোমধ্যে নদীর পেটে চলে গেছে। অবৈধ বালু উত্তোলণের কারণে ব্রিজের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া ব্রিজটির পূর্বপাশে অ্যাপ্রোচের মাটি সরে গেছে। ওই স্থানে স্থানীয়রা বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী মাচা তৈরি করে পায়ে হেটে যাতায়াত অব্যাহত রেখেছে। অথচ বিকল্প যাতায়াত ব্যবস্থা না করে কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি পরিত্যক্ত ঘোষণার মাধ্যমে যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছে।

বাসাইল উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) রোজদিদ আহমেদ বলেন, ইতোমধ্যে ব্রিজটি পরিদর্শন করে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রিজটি ব্যবহার না করার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। সেখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণের অনুমোদন হয়ে টেন্ডার পর্যায়ে রয়েছে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno