আজ- ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার  বিকাল ৫:২২

টাঙ্গাইলে ড. আব্দুর রাজ্জাকের সংবর্ধনার ‘চমক’ মুরাদ সিদ্দিকী!

 

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-pic-fol-2
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে শানবার(২৯ অক্টোবর) বিকালে আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্যিনির্বাচিত হওয়ায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপিকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন টাঙ্গাইলের সাধারণ মানুষের নেতা মুরাদ সিদ্দিকী। এছাড়া তিনি দীর্ঘ ১৬ বছর পর শনিবার আওয়ামীলীগের কোন সভায় প্রকাশ্যে উপস্থিত হন।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ফুলের তোড়া উপহার দেয়ায় শহরে নানা রকম কানাঘুষা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, মুরাদ সিদ্দিকী তাহলে আওয়ামীলীগে যোগ দিলেন; আবার অনেকে বলছেন যোগ দেয়ার অাবার কি হলো তিনি তো আগে থেকেই আ’লীগে রয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ায় দলীয় কার্যক্রমে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল- সেই দূরত্বের অবসান ঘটানো হলো সংবর্ধনা সভায় অংশ নিয়ে। আ’লীগের একটি অংশ মনে করে, দলীয় কর্মকান্ডে মুরাদ সিদ্দিকীর সক্রিয় হওয়ায় জেলার আওয়ামী রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণ শুরু হবে। পরিবার বা যেকোন ধরণের বলয় মুক্ত হয়ে জেলার আওয়ামী রাজনীতি একটা দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার সুযোগ পাবে।  বিপুল সংখ্যক লোক অংশ নেয়ার কারণ হিসেবেও মুরাদ সিদ্দিকীর তৎপরতাকে সহযোগী হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।

dristy-pic-fol-5 এদিকে, দল বা প্রতিষ্ঠান নয়, ব্যক্তি ইমেজ নিয়েই মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসন থেকে তিনবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হলেও তার ব্যক্তি ইমেজ এখনো অপরিবর্তিত।
২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান ৯৬ হাজার ভোট পান। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী আবদুল মান্নান পেয়েছিলেন ৮২ হাজার। মুরাদ সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করে ৬৮ হাজার ১৬৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন।
২০০৮ সালে মুরাদ সিদ্দিকী স্বতন্ত্র নির্বাচন করে ৪০ হাজার ৪৫৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন। গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন মুরাদ সিদ্দিকী। বিরোধী দল এ নির্বাচনে অংশ না নিলেও মুরাদ সিদ্দিকীর ইমেজের কাছে সরকারি দলের প্রার্থী চরম বেকায়দায় পড়ে যান। মুরাদ সিদ্দিকী ৫৯ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়ে সামান্য ব্যবধানে হেরে যান। হারার পর ভোট জালিয়াতি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করলেও শেষে ফলাফল মেনে নিয়েছেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে গেলেও মুরাদ সিদ্দিকী রাজনৈতিক কোনো হানাহানি বা কলহের মধ্যে না গিয়ে আবারও মিশে গেছেন মাঠের মানুষের সঙ্গে। সাধারণ মানুষের খোঁজখবর রাখছেন নিয়মিত। ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের সর্বস্তরের লোকজনের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। নির্বাচন করে জয়ী কিংবা পরাজিত হওয়ার পর ভোটারদের আর খোঁজখবর রাখেন না অধিকাংশ নেতা। সেদিক থেকে মুরাদ সিদ্দিকী ব্যতিক্রম। তিনি পরাজিত হওয়ার পরও সাধারণ মানুষের খোঁজখবর রাখছেন এবং সেবা করছেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno