আজ- ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার  রাত ৪:২৩

টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি :: হুমকিতে তারাকান্দি-জোকার চর বাঁধ

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলে টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে যমুনা নদীর পানি অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে গোপালপুরের নলিন পয়েন্টে মঙ্গলবার(১৫ আগস্ট) সকালে বিপদ সীমার ১২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে, টাঙ্গাইলের জোকারচর-তারাকান্দি বাঁধে অন্তত ১০টি স্থানে ছিদ্র দেখা দেওয়ায় বাঁধটি যে কোন সময় ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
অব্যাহত বৃদ্ধির ফলে পাঁচ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বানভাসীদের অভিযোগ এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারী কোন ত্রাণ সহযোগিতা তারা পায়নি। দ্রুত শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার দাবি তাদের।
পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন করে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। চরম হুমকির মুখে পড়েছে টাঙ্গাইলের জোকার চর-তারাকান্দি যমুনা নদী রক্ষা বাঁধ। বাঁধের পূর্ব দিকের তারাই, গাড়াবাড়ী, কুঠিবয়ড়া, চুকাইনগর, অর্জুনা, জগৎপুড়াসহ অন্তত ১০ স্থানে বাঁধের নিচ দিয়ে ছিদ্র হয়ে চুইয়ে চুইয়ে পানি ঢুকছে। যে কোন সময় বাঁধটি ধসে পরার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ বলেন, বাঁধটি রক্ষায় সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। উজানের ঢল ও টানা বর্ষণের ফলে পানি প্রবাহে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে গেছে। যমুনা নদীর পানি প্রতিদিনই ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গোপালপুরের নলিন পয়েন্টে বিপদ সীমার ১২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙনের কবলে পরেছে জোকারচর-তারাকান্দি যমুনা নদী রক্ষা বাঁধ। বাঁধের পূর্ব দিকের ১০ স্থান ছিদ্র মেরামতের চেষ্টা করছেন তারা। কিন্তু পানি প্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছেনা। যে কোন সময় বাঁধটি ধসে পরার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। তিনি বলেন, বাঁধটি ভেঙে গেলে বৃহত্তর ময়মনসিংহ দীর্ঘমেয়াদী ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়বে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno