প্রথম পাতা / অপরাধ /
টাঙ্গাইল কারাগারে নারী কয়েদীর মৃত্যু ॥ জেল সুপারের নামে মামলা
By দৃষ্টি টিভি on ১ জুন, ২০২২ ৭:৫৭ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইল কারাগারে নাদীয়া জাহান শেলী নামের এক নারী কয়েদীর মৃত্যু হয়েছে। সুচিকিৎসার অভাবে ওই কয়েদীর মৃত্যু হয়েছে দাবি করে জেল সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ডেপুটি জেলারসহ অজ্ঞাতনামা অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তার স্বামী মো. মিনহাজ উদ্দিন।
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় আসামিদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই নারী কয়েদীর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই নারী কয়েদীর মেয়ে সোনালী আক্তার বলেন, তার মা নাদীয়া জাহান শেলী ডায়াবেটিক ও কিডনী রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
এরপরও বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট(সখীপুর) আমলী আদালতে চলমান সি.আর ৩১১/২০২১ এর মামলায় তিনি ছিলেন ২ নম্বর অভিযুক্ত আসামি। গত ৪ এপ্রিল অসুস্থ অবস্থায় তার মা অন্য একটি মামলায় সখীপুর আমলী আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন।
জামিনের জন্য আদালতে শারীরিক অসুস্থতার সকল প্রতিবেদন (রিপোর্ট) দাখিল করার পরও বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। নাদীয়া জাহান শেলী অসুস্থ হওয়ায় তার সুচিকিৎসার জন্য জেল সুপারকে নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু জেল সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ডেপুটি জেলারসহ অজ্ঞাতনামা অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার চিকিৎসার সু-
ব্যবস্থা না করে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তাকে সাধারণ কয়েদী হিসেবে জেনারেল ওয়ার্ডে রাখেন। চিকিৎসা না পেয়ে তিনি কারাগারে খুবই কষ্ট করেছেন। অবশেষে গত ৮ এপ্রিল রাতে তিনি চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯ এপ্রিল তার বাবা মিনহাজ উদ্দিন বাদি হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট(টাঙ্গাইল সদর থানা) আমলী আদালতে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ১০৪(খ)/১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
বিচারক এই অবহেলিত হত্যা মামলার বিষয়ে তার আদেশ উল্লেখ করেন ‘আসামিগণ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী হওয়ায় এবং অভিযোগের গভীরতা বিবেচনায় মামলার ঘটনার বিষয়ে পুলিশ বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দ্বারা তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হলে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে বলে আদালত মনে করেন। সার্বিক পর্যালোচনায় টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারকে মামলার ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ পূর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।’
সংবাদ সম্মেলনে তার পাঁচ বছরের জমজ দুই ছেলে হাসান ও হোসাইন এবং মেয়ে সোনালী আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
জমজ দুই ছেলে হাসান ও হোসাইন এবং সোনালী আক্তার বলেন, আমার মা খুব অসুস্থ ছিলেন। তারপরও জেল সুপার তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। জেল সুপার আদালতের নির্দেশকে অমান্য করেছেন। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।
এ বিষয়ে জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কারাগারের দুইজন চিকিৎসক নাদীয়া জাহান শেলীর সুচিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন। কারাগারে তাকে সুচিকিৎসাই দেওয়া হয়েছে।
তিনি মারা যাওয়ার পর সকল প্রকার আইনী পক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মরদেহ নেওয়ার সময় তাদের কোন অভিযোগ ছিলনা।
এরপরও তারা চিকিৎসার অভাবে ওই কয়েদীর মৃত্যু হয়েছে দাবি করা এবং আমাদের আসামি করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার বিষয়ে পুলিশ সুপার নিজেই তদন্ত করছেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
এমপিরা কোনো প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না :: ইসি আলমগীর
-
টাঙ্গাইলে দুর্ঘটনায় রেললাইনের উপর বাস ॥ অল্পের জন্য যাত্রীদের প্রাণরক্ষা
-
ভারতের কোলকাতায় সবুজ পৃথিবীর কমিটি গঠন
-
ঘাটাইলে গরুসহ গাড়ি ফেলে পালিয়েছে চোরচক্র
-
টাঙ্গাইলে প্রচণ্ড দাবদাহে জনজীবন ওষ্ঠাগত ॥ হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বাড়ছে
-
পুলিশের বাগড়া দেওয়া অসম প্রেমিক দুই ছাত্রীর জামিন মঞ্জুর
-
আ’লীগ কার্যালয়ের তালা ভাঙার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল
-
বংশাই নদীতে ব্রিজের অভাবে ২৫ গ্রামবাসীর ঝুঁকিতে পারাপার