দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি তৃতীয়বারও হয়নি। মামলার প্রধান আসামি আ’লীগের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির না করায় মঙ্গলবার(১০ জানুয়ারি) অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়নি। আদালত আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ ধার্য করেছেন। এর আগেও দুবার সাংসদ আমানুর রহমান রানাকে হাজির না করায় মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানী পিছিয়ে যায়।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান বলেন, প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১-এর বিচারক আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে মঙ্গলবার(১০ জানুয়ারি) শুনানি গঠনের তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু কাশিমপুর কারা কর্তৃপ আদালতকে জানিয়েছে, সাংসদ আমানুরকে বুকের ব্যথার কারণে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোমবার(৯ জানুয়ারি) চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন গাজীপুরের চিকিৎসকরা। তাই তাঁকে হাজির করা যায়নি। পরে আদালত অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ দিয়েছেন।
প্রকাশ, দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর এ আদালতে আতœসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ টাঙ্গাইলে তাঁর কলেজপাড়া এলাকায় বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমদ অজ্ঞাতদের আসামী করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ সালের আগস্টে এ মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেপ্তার হন। আদালতে তাঁদের স্বীকারোক্তিতে সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর তিন ভাইয়ের জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে আসে। এরপর থেকে আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর ভাইয়েরা আতœগোপনে চলে যান।
গত বছর ৩ ফেব্রুয়ারি সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা, তাঁর তিন ভাই ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকন, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি ও ছঅত্রীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। গত ৬ এপ্রিল আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।