আজ- ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  রাত ১১:১৫

দুর্ধর্ষ কমান্ডার হাবিবুর রহমান বীরবিক্রমের ১৯তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল ঘাটাইল উপজেলা সাধুর গলগন্ডা গ্রামের জাহাজ মারা কমান্ডার হাবিবুর রহমান বীর বিক্রম এর ১৯তম মৃত্যবার্ষিকী আজ বুধবার(২৭শে ডিসেম্বর)। ১৯৯৮সালের এই দিনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরন করেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার গ্রামের বাড়ি জাহাজমারা হাবিবুর রহমান বীর বিক্রম স্মৃতি সংসদ ও ঘাটাইল প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রকাশ, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১সালের ১১ আগষ্ট টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদী পথে মাটিকাটা নামক স্থানে নদীর পথে করা নজরদারী দায়িত্ব ছিল কাদেরিয়া বাহিনীর দুর্ধর্ষ সাহসী চৌকস কমান্ডার মেজর হাবিবুর রহমান বীর বিক্রম এর উপর। তার দুরদর্শীতায় ও অল্প সংখ্যক সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দুটি অস্ত্রবোঝাই জাহাজ এসটিরাজন ও ইউএস ইজ্ঞিনিয়ারস এলসি-৩ ধংস করার মাধ্যমে পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেন। জাহাজ গুলো আক্রমন ও ধংস করে এক লাখ ২০ হাজার বাক্সে তৎকালীন ২১কোটি টাকা মূল্যের অস্ত্র ও গোলা বারুদ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রনে আসে। পরবর্তীতে যুদ্ধ জাহাজ ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করার জন্য পাকিস্তানি কমান্ডডেট লে. জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী ও ব্রিগেডিয়ার কাদের খানের নেতৃত্বে ৪৭ব্রিগেট, ৫১কমান্ডো ব্রিগেট ও হানাদার বিমান বাহিনী দুইটি এফ-৮৬ সাব-জেট বিমান দ্বারা মুক্তি বাহিনীদের উপর চতুর্দিক থেকে আক্রমন করে। হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বীরমুক্তিসেনাদের কাছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্যহয়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই যুদ্ধকে পট পরিবর্তনের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে গণ্য করা হয়। কমান্ডার হাবিবুর রহমানের অসীম সাহসীকতাপূর্ণ নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জনসাধারণের কাছে জাহাজমারা হাবিব হিসেবে পরিচিতি পান।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno