ধনবাড়ী পৌরসভায় ভোট শেষে গণনা চলছে ॥ ফিঙ্গার রেখে ভোটারদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহন শেষে গণনা চলছে। ভোটগ্রহনকালে একটি কেন্দ্রে ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ(ফিঙ্গার) রেখে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকা সমর্থিতদের বিরুদ্ধে।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী(স্বতন্ত্র) মেয়র প্রার্থী মনিরুজ্জামান বকল (নারিকেল গাছ) ও বিএনপি প্রার্থী এসএমএ ছোবহান (ধানের শীষ) এ অভিযোগ তুলেন।

ধনবাড়ী সরকারি ডিগ্রি কলেজ ৮নং কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপি কর্মী সুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, শনিবার সকাল ৮টায় ধনবাড়ী পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে ধনবাড়ী সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে শুরু থেকেই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।

এ কেন্দ্রে বেশ কিছু ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ(ফিঙ্গার) রেখে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে। দফায় দফায় এ কেন্দ্রে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপনের লোকজন আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।

ভোটারদের ফিঙ্গার রেখে তাদের বের করে দিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিচ্ছে। শুধু এ কেন্দ্রেই নয়, সব কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’

বিএনপি প্রার্থী এসএমএ ছোবহান বলেন, ‘ধনবাড়ী সরকারি ডিগ্রি কলেজে ৮নং কেন্দ্রসহ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের ফিঙ্গার রেখে বের করে দিয়ে নৌকা প্রার্থীর সমর্থিতরা নৌকায় ভোট দিচ্ছে। এখানে সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে না।’

ওই কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর এজেণ্ট রাশেদুজ্জামান লিটন(নারিকেল গাছ) বলেন, ‘আমার সামনেই আওয়ামী লীগের লোকজন নৌকা মার্কায় ভোট দিচ্ছে। বাঁধা দিলে আমাকে তারা কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়।’

এ বিষয়ে জানতে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা সুজন নাথের অফিসে গেলে তার কক্ষটি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।

কক্ষের সামনে পাহারায় থাকা আনসার সদস্য বলেন- ‘স্যার বাইরে তালা দিয়ে ভেতরে বসে আছেন। পরে তিনি তালা খুলে দেন। তখন প্রিজাইডিং অফিসার বলেন, ‘কেউ আমার কাছে অভিযোগ দেয়নি।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা করুনা সিন্ধু চাকলাদার বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। আমার কাছে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি।’

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে