প্রথম পাতা / টাঙ্গাইল / কালিহাতী /
নায়ক মান্নার সমাধিস্থলে ভক্তদের ক্ষোভ
By দৃষ্টি টিভি on ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ৫:৩৮ পূর্বাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গার নিজ বাড়ির পাশে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত বাংলা চলচিত্রের কিংবদন্তী অভিনেতা নায়ক মান্নার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিস্তারিত কর্মসূচি না থাকায় তার ভক্তরা ক্ষোভ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার(১৭ ফেব্রুয়ারি) জন্মস্থানে অনেকটা নীরবেই মান্নার মৃত্যুবার্ষিকী চলে যাওয়ায় ওই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভক্তরা।
চিত্রনায়ক মান্নার বাড়িতে দেখা যায়, মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণে কোন কর্মসূচি নেই। ভক্তরা মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দূর-দূরান্ত থেকে এসে কবর জিয়ারত করছেন। অনেকে আবার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দুফোঁটা চোখের জল ঝড়াচ্ছেন। তারা মান্নার স্মরণমূলক কোন কর্মসূচি এখানে না দেখে চরম ব্যথিত হয়েছেন।
এদিকে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না বুধবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং দোয়া মাহফিল করেছেন। তিনি জানান, এ বছর এখানে তেমন কোন আয়োজন থাকছে না।
আগত ভক্তরা জানান, তাদের অনেকের বোঝার বয়স হওয়ার পর থেকে মান্নার সিনেমা দেখতে দেখতে তার ভক্ত হয়েছেন। মৃত্যুবার্ষিকীতে এখানে কিছুই হচ্ছে না। এত বড় মাপের মানুষের সমাধিস্থল এভাবে থাকতে পারেনা। তারা খুব ব্যথিত। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নায়ক মান্না দেশের একজন কৃতি সন্তান। টাঙ্গাইলের স্থানীয়ভাবে সামজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মান্নার মৃত্যু ও জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি পালন করা উচিত।
কালিহাতীর দেউপুর গ্রামের কবির তালুকদার নামে এক ভক্ত বলেন, আমি হাজার হাজার মানুষের ভীড় ঠেলে অনেক কষ্ট করে তার কবরে মাটি দিয়েছিলাম। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসার সময় প্রায়ই কবর দেখে যাই। স্থানীয়ভাবে কমিটি কিংবা স্মৃতি সংসদ করে মান্নার কর্ম বাঁচিয়ে রাখা উচিত।
প্রতিবেশী শওকত আলী বলেন, মৃত্যু বার্ষিকী ছাড়াও প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মান্নার কবর একবার দেখার জন্য অনেক লোক আসেন। তার স্ত্রী এবার কবর জিয়ারত করে দোয়া মাহফলি করেছেন।
তাছাড়া মৃত্যুবার্ষিকীতে কোন আয়োজন নেই। এলেঙ্গা পৌরসভার বাসিন্দা এবং স্থানীয় সংবাদকর্মী দাশ পবিত্র বলেন, বরেণ্য এ শিল্পীর জন্ম কিংবা মৃত্যুবার্ষিকীতে এখানে তেমন কোন অনুষ্ঠান থাকে না। তার স্মরণে কিছু করা দরকার।
মান্নার ফুফু চামেলী বেগম বলেন, মান্না বাংলাদেশের কৃতি সন্তান হলেও তার জন্ম টাঙ্গাইলে। তাই টাঙ্গাইলে মান্নার নামে কোন স্থাপনা প্রতিষ্ঠা এবং সড়কের নামকরণ করা হোক। সেইসাথে তার কর্মময় স্মৃতি ধরে রাখতে স্থানীয়-জাতীয় পর্যায়ে সরকারি এবং বেসরকারিভাবে আরও উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালের ১৪ এপ্রিল চিত্রনায়ক এসএম আসলাম তালুকদার মান্না কালিহাতীর দূর্গাপুরের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করে ঢাকা কলেজে স্নাতকে ভর্তি হন। ১৯৮৪ সালে এফডিসির নতুন মুখের সন্ধান কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে আসেন। তার অভিনীত প্রথম চলচিত্র তওবা।
এরপর একের পর এক ব্যবসা সফল চলচিত্রে অভিনয় করে নিজেকে সেরা নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। চলচ্চিত্র অঙ্গনে গড়ে তুলেন নিজের শক্ত ভীত। চলচ্চিত্র সমগ্র জীবনে তিনি তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার সিনেমায় বঞ্চিত নিপীড়িত মানুষের কথা উঠে এসেছে। জীবদ্দশায় অনেক সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি। সে কারণে বাংলা সিনেমার দর্শক আজও মনে ঠাঁই দিয়ে রেখেছেন মান্নাকে।
মান্নার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘সিপাহী’, ‘যন্ত্রণা’, ‘অমর’, ‘পাগলী’, ‘দাঙ্গা’, ‘ত্রাস’, ‘জনতার বাদশা’, ‘লাল বাদশা’, ‘আম্মাজান’, ‘দেশ দরদী’ জেদী, ধর, মাতৃভূমি ইত্যাদি। আসলাম তালুকদার মান্না ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অগণিত ভক্তকে কাঁদিয়ে পৃথিবী থেকে চলে যান।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
তাপপ্রবাহ :: ৭ দিন বন্ধ স্কুল-কলেজ
-
টাঙ্গাইল শহরে থমথমে অবস্থা ॥ ককটেল বিস্ফোরণ
-
গানের পাখি বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার দে আর নেই
-
টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালিত
-
টাঙ্গাইলে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
-
কালিহাতীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা
-
যমুনায় অষ্টমীস্নানে পুণ্যার্থীদের ঢল