প্রথম পাতা / ছবি /
না খেয়ে ৪০ বছর বেঁচে থাকে টারডিগ্রেড!
By দৃষ্টি টিভি on ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ১০:১২ পূর্বাহ্ন / no comments
দৃষ্টি ডেস্ক:
পৃথিবীতে এমন এক প্রাণী রয়েছে যে একই সঙ্গে অত্যাধিক গরম সহ্য করার সঙ্গে অস্বাভাবিক ঠাণ্ডাও সহ্য করে বেঁচে থাকতে পারে।
সব গ্রহদের মধ্যে পৃথিবীই এমন এক গ্রহ যেখানে অত্যাধিক গরম ও প্রচণ্ড শীত দুইই অনুভব করা যায়।
আমরা অনেকেই জানি, শীতল পরিবেশে বাস করা কোনো প্রাণীকে যদি উষ্ণ পরিবেশে রাখা হয় তবে সেই প্রাণীর পক্ষে বেঁচে থাকা খুবই কষ্টের।
তবে পৃথিবীতে এমন এক প্রাণী রয়েছে যে একই সাথে অত্যাধিক গরম সহ্য করার পাশাপাশি অস্বাভাবিক ঠাণ্ডাও সহ্য করে বেঁচে থাকতে পারে।
জেনে নিন সেই প্রাণী সম্পর্কে:-
এই বিশেষ প্রাণীটির নাম হচ্ছে টারডিগ্রেড। ১৭৭৩ সালের অগাস্ট মাসে এই প্রাণীটির খোঁজ সর্বপ্রথম পান জার্মান প্রাণীবিজ্ঞানী জোহান। প্রাণীটির সহ্য ক্ষমতা সত্যিই অবাক করবে আপনাকে।
এর আকার মাত্র শূণ্য দশমিক ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১ মি.লি. মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই প্রাণীর রয়েছে ছোট ছোট আটটি পা এবং নিজস্ব এক পাচনতন্ত্র। ক্ষুদ্র এই প্রাণীটির পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম স্থান অয়মিয়াকনে বাস করতেও সমস্যা হয় না।
শীতকালে অয়মিয়াকনের তাপমাত্রা নেমে যায় প্রায় -৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সেখানে তারা কোনো বাধা ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে।
আসলে এই তাপমাত্রা এই প্রাণীর কাছে তুচ্ছ। আবার সাধারণত জল ফুটতে থাকে ১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। কিন্তু টারডিগ্রেড ১৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও বেঁচে থাকতে পারে।
সমুদ্রের সবচেয়ে গভীর স্থান মারিয়ানা ট্রেঞ্চে জলের চাপ থাকে অনেক বেশি। এমনকি সেখানের পরিবেশেও সে টিকে থাকতে পারে।
এই প্রাণীর আরো বিশেষ একটি চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য হলো যে এটি প্রায় ৪০ বছর পর্যন্ত বিনা খাওয়া দাওয়া করেই বাঁচতে পারে। খাবার না খেয়ে এতো লম্বা সময় বেঁচে থাকার প্রক্রিয়াকে বিজ্ঞানী পরিভাষায় বলা হয়ে থাকে ক্রিপ্টোবায়োসিস।
এই প্রক্রিয়ায় এই প্রাণীটি নিজের শরীরের সব মেটাবলিজম প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় ও এর ফলে জলের পরিমাণ একদম কমে গিয়ে তার নিজের শরীর সম্পূর্ণ শুষ্ক হয়ে যায়।
এই অবস্থায় এই প্রাণীটির শরীরে মাত্র ৩ শতাংশ জল থাকে। এই প্রক্রিয়ার সময় এই প্রাণীর কোনো শক্তি বা খাদ্যের প্রয়োজন হয় না এবং এই পরিস্থিতিতে সে লম্বা হাইবারনেশনে চলে যেতে পারে।
পরিস্থিতি সুবিধার হলে প্রাণীটি আবার নিজের মেটাবলিজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে শুরু করে এবং খাবারের খোঁজে বেরিয়ে আসে।
উদ্ভিদ কোষের ফ্লুইড, ব্যাকটেরিয়া এবং এর থেকে ছোট আকারের প্রাণীই মূলত এর খাবার।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
টাঙ্গাইল শহরে থমথমে অবস্থা ॥ ককটেল বিস্ফোরণ
-
গানের পাখি বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার দে আর নেই
-
টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালিত
-
টাঙ্গাইলে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
-
কালিহাতীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা
-
যমুনায় অষ্টমীস্নানে পুণ্যার্থীদের ঢল
-
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে দ্বৈত সঙ্গীতানুষ্ঠান