প্রথম পাতা / অপরাধ /
বঙ্গবন্ধুর চার খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল
By দৃষ্টি টিভি on ৬ জুন, ২০২১ ৮:১৬ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি ডেস্ক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত চার খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
খেতাব বাতিল হওয়া চার জন হচ্ছেন- শরিফুল হক ডালিম, নুর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন। রোববার (৬ জুন) মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৭২তম সভার ১১.৩ নং আলোচ্য সূচির সিদ্ধান্তের আলোকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য শহীদদের হত্যা মামলায় আত্মস্বীকৃত খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের খেতাব বাতিল করলো।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য স্বাধীনতার পর শরিফুল হক ডালিম ‘বীর উত্তম’, নূর চৌধুরী ‘বীর বিক্রম’, রাশেদ চৌধুরী ‘বীর প্রতীক’ ও মোসলেহ উদ্দিন ‘বীর প্রতীক’ খেতাব পান।
খেতাব বাতিল হওয়ায় তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য আর কোনো রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।
গত ২ জুন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর চার খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব ও পদক বাতিলের বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আইনি প্রক্রিয়া সব শেষ হয়েছে। অচিরেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খেতাব বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের জন্য দুই মাস সময় দিয়ে একটি উপ-কমিটি করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা দেশবিদেশের বিভিন্ন লোকের রেকর্ড পেয়েছি। খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের মন্তব্য পেয়েছি। সেই মন্তব্য আদালতে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে তা আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেব। আমরা এখনও উপ-কমিটির রিপোর্ট পাইনি।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দণ্ডিত চার পলাতক খুনির খেতাব স্থগিতের জন্য হাইকোর্ট একটি আদেশ দিয়েছিলেন গত বছরের শেষ দিকে।
অন্যদিকে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ওই চারজনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পাওয়া বীরত্বের খেতাব স্থগিতের নির্দেশ দেন। এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) বৈঠকে চার খুনির খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য।
একই সঙ্গে সংবিধান লঙ্ঘন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশত্যাগে সহায়তা এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের কারণে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ‘বীর উত্তম’ খেতাবও বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছিল জামুকার ওই সভায়।
১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জাতির পিতার খুনের বিচারের পথ খোলে। এরপর বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালতের চূড়ান্ত রায় অনুযায়ী ছয় খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
তবে মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে পাঁচজন এখনও রয়েছেন পলাতক। তাদের মধ্যে নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, রাশেদ চৌধুরী এবং মোসলেহ উদ্দিন খান রাষ্ট্রীয় খেতাবধারী।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
টাঙ্গাইল শহরে থমথমে অবস্থা ॥ ককটেল বিস্ফোরণ
-
গানের পাখি বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার দে আর নেই
-
টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালিত
-
টাঙ্গাইলে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
-
কালিহাতীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা
-
যমুনায় অষ্টমীস্নানে পুণ্যার্থীদের ঢল
-
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে দ্বৈত সঙ্গীতানুষ্ঠান