আজ- ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার  রাত ৩:০৮

বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়িতে হাজতির মৃত্যু

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়িতে মো. লেবু মিয়া(৫০) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। স্বজনদের দাবি তিনি পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেছেন।


মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ফাঁড়ির হাজতখানার টয়লেট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লেবু মিয়া বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে।


পুলিশ জানায়, পাঁচ বছর আগে বাঁশতৈল গ্রামের সখিনা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মফিজুর রহমানের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে সখিনা বেগম(৪৩) একই গ্রামে আলাদা বাড়ি তৈরি করে দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতেন। মেয়েদের বিয়ে হওয়ায় প্রবাসী ছেলের স্ত্রীকে নিয়ে ওই বড়িতে তারা দুজন থাকতেন।


রোববার(২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সখিনা বাড়িতে একা ছিলেন। সোমবার(২৬ সেপ্টেম্বর) অনেক বেলা হলেও সখিনাকে দেখতে না পেয়ে পাশের বাড়ির লোকজন খোঁজ করতে ওই বাড়িতে যান। সোমবার দুপুরে ঘরের ভেতর তার মরদেহ দেখতে পেয়ে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়িতে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।


পুলিশ জানায়, সখিনার গলায় কালো দাগ পাওয়া যায়। সখিনার মা আকিরন বেগম তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন। ওই ঘটনায় সোমবার রাতে বাঁশতৈল ফাঁড়ি পুলিশ সখিনার সাবেক স্বামী মফিজুর ও একই গ্রামের বাসিন্দা মো. লেবু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে হাজতখানায় রাখে। মঙ্গলবার ভোরে তাদের মধ্যে মো. লেবু মিয়ার মরদেহ হাজতখানা থেকে উদ্ধার করা হয়।


ভাররা ইউনিয়নের সচিব ও মৃত লেবু মিয়ার ভাই মো. বজলুর রশিদ অভিযোগ করেন, তার ভাই পুলিশের নির্যাতনে মারা গেছেন। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।


বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক(ইনচার্জ) সাখাওয়াত হোসেন জানান, ওই নারীর মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তার গলায় কালো দাগ ছিল। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।


তিনি জানান, ওই ঘটনায় সখিনার সাবেক স্বামী মফিজ ও লেবু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। সোমবার রাতে তাদেরকে আলাদা হাজতখানায় রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার ভোরে লেবু মিয়া টয়লেটের ভেন্টিলেটরে থাকা রডের সঙ্গে সুতা আটকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সুরতহাল শেষে মরদেহ মির্জাপুর থানায় পাঠানো হয়েছে।


মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানান, তিনি লেবু মিয়াকে টয়লেটের ভেন্টিলেটরে থাকা রডের সঙ্গে শক্ত সুতা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পেয়েছেন। তা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। তার উপস্থিতিতে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, ওই ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে তিনি শুনেছেন। এ রিপোর্ট লেখার সময় তিনি বাইরে ছিলেন। থানায় যাওয়ার পর বিস্তারিত জানাতে পারবেন বলে জানান।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno