প্রথম পাতা / অপরাধ /
বাসেক’র বিরুদ্ধে বিনা নোটিশে উচ্ছেদের অভিযোগ!
By দৃষ্টি টিভি on ২ জানুয়ারী, ২০২১ ৯:২৬ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নোটিশ না দিয়ে ইজারা নেওয়া সেতু রেস্ট হাউজের বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করেছে বাসেক(বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ)।
শনিবার(২ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাহউদ্দিন আইয়ূবীর নেতৃত্বে ওই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় রেস্ট হাউজের চারটি ভবনের বাসিন্দা ও ২০টি দোকানদারকে নামিয়ে দিয়ে রুমগুলোতে তালা ঝুঁলিয়ে দেওয়া হয়। পরে বাসেক জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগকে রেস্ট হাউজটি বুঝিয়ে দেয়।
জানাগেছে, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের(বাসেক) ভূঞাপুরে অবস্থিত সেতুর রেস্ট হাউজটি ১০ বছর মেয়াদে গত ৬ বছর আগে পরিত্যক্ত অবস্থায় ইজারারা নেয় স্থানীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাবিতা এন্টারপ্রাইজ।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাবিতা এন্টারপ্রাইজ ইজারার শর্ত অনুযায়ী ভাড়া হিসেবে প্রতি বছর দুই লাখ ২০ হাজার টাকা সেতু কর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করে আসছিল। এরপর কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই সেতু কর্তৃপক্ষ ইজারা বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত করে নোটিশ দেয়।
পরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালত গত ৫ নভেম্বর ওই স্থানে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
এছাড়া পনের দিনের মধ্যে সেতু কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয় আদালত। এরপর গত ৬ ডিসেম্বর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুনরায় আদালতে স্থিতাবস্থার আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এদিকে, আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ থাকলেও তড়িঘড়ি করে সেতু কর্তৃপক্ষ কোন নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বাসেক) যুগ্ম-সচিব (পরিচালক প্রশাসন) মো. রেজাউল হায়দার, যুগ্ম-সচিব (পরিচালক পরিকল্পনা) ড. মনিরুজ্জামান, যুগ্ম-সচিব (পরিচালক অর্থ) রুপম আনোয়ার, উপ-সচিব (প্রশাসন)
মনিরুল ইসলাম, ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ইশরাত জাহান, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো. আসলাম হোসাইন, বঙ্গবন্ধু সেতুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী
তোফাজ্জল হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল, জেলার সড়ক ও জনপথ(সওজ) বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সোমেল প্রমুখ।
রেস্ট হাউজের এক ভবনের ভাড়াটিয়া শাহআলম সরকার ও লুৎফর রহমান জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। হঠাৎ করেই শুক্রবার(১ জানুয়ারি) রাতে ভবন খালি করার জন্য মাইকিং করা হলেও কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি।
তাদেরকে বিকল্প কোন ব্যবস্থা করার সুযোগ না দিয়ে মধ্য যুগীয় কায়দায় বের করে দেওয়া হয়েছে। সময় না দিয়ে উচ্ছেদের ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদেরকে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে।
রাবিতা এন্টারপ্রাইজের দায়িত্বশীল ব্যক্তি লেলিন খান জানান, সেতু কর্তৃপক্ষকে বার বার বাৎসরিক ইজারার টাকা দিতে চাইলেও তারা নেয়নি। পরে কোন কারণ ছাড়াই সময় না দিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। জজ কোর্টের স্থিতাবস্থার আদেশও তারা অমান্য করেছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাহউদ্দিন আইয়ূবী বলেন, উচ্ছেদের বিষয়টি পুরোটাই সেতু কর্তৃপক্ষ করেছে। আমরা শুধু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় সে বিষয়টা দেখভাল করেছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বাসেক) যুগ্ম-সচিব (পরিচালক প্রশাসন) মো. রেজাউল হায়দার কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
তাপপ্রবাহ :: ৭ দিন বন্ধ স্কুল-কলেজ
-
টাঙ্গাইল শহরে থমথমে অবস্থা ॥ ককটেল বিস্ফোরণ
-
গানের পাখি বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার দে আর নেই
-
টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালিত
-
টাঙ্গাইলে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
-
কালিহাতীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা
-
যমুনায় অষ্টমীস্নানে পুণ্যার্থীদের ঢল