আজ- ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার  রাত ৪:০৭

বিএনপি নেতারা সাজাপ্রাপ্ত- নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না :: প্রধানমন্ত্রী

 

দৃষ্টি নিউজ:

সংগৃহীত ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নেতারা সাজাপ্রাপ্ত, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। সার্চ কমিটির মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।


এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোন আশায় বিএনপিকে ভোট দিবেন জনগণ? তাদের আমলে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে যে অস্থিরতা তৈরি করে ছিলো তা মানুষ এখনো ভুলেনি। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বার বার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। পরাজয় জেনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় না।


শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারি শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর পর এবারই প্রথম আমি দেশের বাইরে সশরীরে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করি। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে আমার অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের মূল সভা ও সাইড ইভেন্ট মিলিয়ে আমি সর্বোমোট ১০টি সভা এবং ৮টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়েছি। ৭৬তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক পর্বের উদ্বোধনী দিনেও আমি যোগদান করি।


জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক সফরে যান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে ২ অক্টোবর রাতে তিনি দেশে ফেরেন। মহামারীর মধ্যে ১৯ মাস পর এটাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর।


এর আগে বিভিন্ন সময়ে বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে সেই অভিজ্ঞতা সংবাদ সম্মেলন করে জানাতেন সরকার প্রধান। স্বাভাবিকভাবেই সফরের বাইরেও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করতেন, সরকারপ্রধান সেসব প্রশ্নের উত্তর দিতেন।


মহামারীর মধ্যে বিদেশ সফর না হওয়ায় গতবছর এপ্রিলের পর একবারই সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি সেই সংবাদ সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার সুখবর তিনি দিয়েছিলেন।


সোমবার বিকাল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২ ঘণ্টা ১৭ মিনিটের ওই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের জাতিসংঘের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছি। যা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখবে বলে আমি আশা রাখি।


জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক সফরে যান প্রধানমন্ত্রী।মহামারীর মধ্যে ১৯ মাস পর এটাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ই-কমার্সসহ বিভিন্ন ‘হায় হায় কোম্পানিতে’ প্রতারিত মানুষের লুট হওয়া অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। প্রতারকদের উপযুক্ত শাস্তির পাশাপাশি এসব অর্থ উদ্ধার হলে তা পাওনাদারদের ফেরত দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।


ই-কমার্স ও এমএলএম কোম্পানির প্রতারণা ও লাখো মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের দুঃসময়ের সুযোগ নিয়ে কিছু মানুষ টাকা বানানোর জন্য যে প্রতারণা করে, এদের উপযুক্ত শাস্তি অবশ্যই হবে। আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন, আমরা বসে নেই। সাথে সাথে এগুলোকে ধরা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


সরকারপ্রধান বলেন, একবার যখন ধরা হয়েছে তখন টাকাগুলো নিয়ে কোথায় রাখলো, কী করলো, কী সম্পদ বানালো- সেটাও খুঁজে বের করা হবে এবং আমরা চেষ্টা করে যাবো এগুলো যদি ফেরত আনা যায়, তাদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করবো।


লুটের অর্থ উদ্ধারে তদন্ত চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টাকাগুলো যারা নিয়েছে তারা কোথায় টাকাগুলো রেখেছে, কোথায় পাচার করেছে- এগুলো নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত হলে যখনই এগুলো পাওয়া যাবে সেভাবে আমরা ফেরত দেবো।


প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যেমন ধরেন কোকো টাকা পাচার করেছিল। আমরা কিন্তু কিছু টাকা হলেও ফেরত আনতে পেরেছি। খালেদা জিয়ার ছেলের টাকা কিছুটা আমরা ফেরত আনতে পেরেছি। আরও এরকম বহু আছে অনেকের। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, সেগুলো আস্তে আস্তে…. এই করোনাটা এসে আমাদের কিছু সমস্যা করেছে। নইলে কিন্তু আরও অনেকের টাকাই আমরা আনতে পারতাম। সে ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছিলাম।’


প্রতারক কোম্পানিগুলোর বিষয়ে গণমাধ্যমকে সংবাদ প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যেটুকু করার আমরা কিন্তু সেটুকু করেছি। তবে এই রকম হায় হায় কোম্পানি যখন সৃষ্টি হয় আপনাদের সাংবাদিকদের তো একটা শ্যেন দৃষ্টি থাকে সমাজের ওপর।

যদি শুরুতে আপনারা একটু ধরিয়ে দিতে পারেন যে, এই কোম্পানিগুলো হায় হায় কোম্পানি বা এই কোম্পানিগুলো মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে বা এরা প্রতারক। এটা যদি আপনাদের দৃষ্টিতে আসে এবং মানুষকে যদি সচেতন করে দেন তবে মানুষের এই ক্ষতিটা হয় না। সে ব্যাপারেও বোধ হয় আপনাদের একটা দায়িত্ব আছে।


গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় গণভবনে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও ভিডিও কনফারেন্সে গণভবনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন সাংবাদিকরা। সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno