বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার(২৩ নভেম্বর) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শহরের শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাস কাচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গালাম কিবরিয়া বড়মনি, পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন, শহর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমান লিটন,

জেলা আওয়ামী স্বেচছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান খান বিপ্লব, শহর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মানিক সিকদার প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার বিচার কাজ সাক্ষীর পর্যায়ে থাকলেও আসামিরা এখনো পলাতক রয়েছেন।

এই হত্যা মামলার আসামিরা টাঙ্গাইলকে আবারও অশান্তির নগরে পরিণত করতে চায়। তাই সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

প্রকাশ, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

পরে গোয়েন্দা পুলিশ রাজা ও মাহাম্মদ আলী নামে দুইজনকে ২০১৪ সালে গ্রেপ্তার করে। ওই দুই আসামির জবানবন্দিতে এই হত্যার সাথে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের তৎকালিন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা এবং তার অপর তিন ভাই পৌরসভার তৎকালিন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয় আসে।

তার পরই আমানুর ও তার ভাইয়রা আত্মগোপনে চলে যান। দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর আমানুর আদালত আত্মসর্মপন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগার পাঠানোর আদেশ দেন। প্রায় দুই বছর হাজতে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্ত হন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে