আজ- শুক্রবার | ৭ নভেম্বর, ২০২৫
২২ কার্তিক, ১৪৩২ | সকাল ৮:৫৮
৭ নভেম্বর, ২০২৫
২২ কার্তিক, ১৪৩২
৭ নভেম্বর, ২০২৫, ২২ কার্তিক, ১৪৩২

মধুপুরে চলন্ত বাসে রূপা ধর্ষণ-হত্যা মামলার চার্জশিট আগেই গ্রহণের নির্দেশ

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল’ কলেজের শিক্ষার্থী রূপা প্রামাণিককে গণধর্ষণ ও হত্যার চার্জশিট গ্রহণের তারিখ এগিয়ে এনেছেন আদালত। বিশেষ সরকারি কৌশুলীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার(১৮ অক্টোবর) বিকালে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতের বিচারক দার্য তারিখ ১৩ নভেম্বরের স্থলে এগিয়ে এনে আগামি ২৫ অক্টোবর চার্জশিট গ্রহণের নতুন তারিখ ধার্য করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌশুলী(পিপি) একেএম নাছিমুল আক্তার জানান, রোববার (১৫ অক্টোবর) পুলিশ বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলার চার্জশিট জমা দেয়। পরদিন সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিচারিক হাকিম আদালত থেকে বিচারিক আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চার্জশিট পাঠানো হয়। বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটির ধার্য তারিখ ছিল ১৩ নভেম্বর। চার্জশিট এসে গেছে তাই মামলার তারিখ এগিয়ে আনার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হয়।
আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী উল্লেখ করেন, রূপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক। দ্রুত এর বিচার নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। তাই চার্জশিট গ্রহণের তারিখ এগিয়ে আনা প্রয়োজন।
প্রকাশ, ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে রূপাকে ধর্ষণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। পরে তাকে ঘাড় মটকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ২৮ আগস্ট রূপার ভাই মধুপুর থানায় এসে মরদেহের ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর, সুপারভাইজার সফর আলী এবং সহকারী শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের কাছে রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে। ৩১ আগস্ট রূপার মরদেহ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সাইফুর রহমান খান ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা দেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, মাথায় আঘাত জনিত কারণে রূপার মৃত্যু হয় এবং মৃত্যুর আগে রূপাকে ধর্ষণ করা হয়।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়