আজ- ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  দুপুর ১২:০০

যমুনার টাঙ্গাইল অংশে কমছে পানি বাড়ছে রোগ-ব্যাধি

 

দৃষ্টি নিউজ:

যমুনা নদীর টাঙ্গাইল অংশে গত কয়েকদিনে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পেলেও শনিবার(২০ জুলাই) সকাল থেকে কমতে শুরু করেছে। ফলে পানিবাহিত রোগ-ব্যাধি বাড়তে শুরু করেছে। এখনও পর্যস্ত উপদ্রুত এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সঙ্কট রয়েছে। জেলা-উপজেলা প্রশাসন থেকে পানীয় জল ও কোন প্রকার ওষুধ সরবরাহ করা হয়নি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশে যমুনা নদীর পানি দুই সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে শুক্রবার বিকালে ওই অংশে যমুনা নদী পানি বিপদসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধির ফলে তারাকান্দি-ভূঞাপুর সড়কে টেপিবাড়ি নামকস্থানে ভেঙে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হিসেবে ব্যবহৃত ওই সড়কটি ৬০ মিটার অংশ ধ্বসে গেছে। বৃহস্পতিবার(১৮ জুলাই) রাতে সড়কটি ভেঙে পড়ার পর শুক্রবার(১৯ জুলাই) সকাল থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল সড়কটি মেরামতে কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যানুযায়ী শনিবার সকাল পর্যন্ত বন্যায় জেলার ৬টি উপজেলার নদী তীরবর্তী ৩৪টি ইউনিয়নের ২১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে ২টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়ে প্রায় তিনলাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলাগুলো হচ্ছে- টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, গোপালপুর, কালিহাতী, নাগরপুর ও মির্জাপুর।

চলতি বন্যায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৩৩০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া ২১ হাজার ৯৭৪টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন হাজার ৩৬ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। চারটি ব্রিজ ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও জেলার ৬টি উপজেলার ১০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ৮৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে গেছে। ১৬টিতে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যার্তদের সাহায্যার্থে জেলায় মোট ১৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি ভূঞাপুরে এবং ২টি গোপালপুরে। এই সব আশ্রয় কেন্দ্রে দুই হাজার চারশ লোক আশ্রয় নিয়েছে। তবে বন্যা দূর্গত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৬৫ টন চাল ও নগদ তিন লাখ টাকা ত্রাণ সহায়তা দেয়ার হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিনে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেলেও শনিবার সকাল থেকে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। শনিবার দুপুরে দুই সেন্টিমিটার কমে যমুনার পানি ভূঞাপুর অংশে বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno