প্রথম পাতা / ছবি /
লালন ১৩০ বছর পরও সমান প্রাসঙ্গিক, জনপ্রিয় ও আধুনিক :: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
By দৃষ্টি টিভি on ১৬ অক্টোবর, ২০২০ ৭:১১ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেছেন, লালন সাঁইজির মৃত্যুর পর পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ ১৩০ বছর। তবু লালন আজও সমান প্রাসঙ্গিক, জনপ্রিয় ও আধুনিক।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে লালন সাঁইজির ১৩০তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব, আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সাধুমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, লালনের গান বাউল সমাজের সাধনার উপকরণ হিসেবে যেমন বিবেচিত, তেমনি সংগীত রসিকের মরমি চিত্তকেও আলোড়িত করতে সক্ষম। পাশাপাশি সমাজ ভাবনার অনুষঙ্গেও তা মূল্যবান।
‘আজ আবার নতুন করে সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদের উত্থানকালে, মনুষ্যত্ব-মানবতার লাঞ্ছনার সময়ে, সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বৈরী যুগে লালনের গান হতে পারে প্রতিবাদ, শিল্প-শান্তি ও শুভবুদ্ধির প্রতীক- মানুষের প্রতি হারানো বিশ্বাসকে ফিরিয়ে আনার পরম পাথেয়।’
তিনি বলেন, লালন সমাজে প্রচলিত ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, জাতপাতের বিরুদ্ধে তার মানবধর্মের মতবাদ প্রচার করতে থাকেন গানের মাধ্যমে। ধীরে ধীরে তার সেই অহিংস মতবাদ ছড়িয়ে পড়ে দেশ-বিদেশে।
বিশেষ করে সমাজের সাধারণ মানুষ- হোক সে হিন্দু অথবা মুসলমান কিংবা বৌদ্ধ, খ্রিস্টান শিষ্যত্ব নেয় লালনের। লালনের মাধ্যমে শুরু হয় নতুন এক মানবধর্মের চর্চা।
জাত-পাতহীন, ধর্ম-বর্ণহীন সমাজের কথাগুলো লালনের গানের মূলকথা হওয়ায় মানুষ তার গানের মাধ্যমে মানবমুক্তির আশ্রয় খুঁজে পায়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা রাখেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মো. নওসাদ হোসেন।
‘বিশ্বমানবতার মুক্তিতে লালন দর্শন’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ভারতের নয়াদিল্লির কাউন্সিল ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক মুচকুন্দ দুবে।
অনলাইনে আলোচনায় অংশ নেন, ফ্রান্সের ইনালকো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেরিমি কড্রন ও ফ্রান্সের লালন গবেষক অধ্যাপক কার্লোস সেমিডো।
‘বাউল সংগীত সংরক্ষণ ও বিকাশ’ বিষয়ক বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মো. সোহেল ইমাম খান এবং ‘লালনের সমাজ ভাবনা ও বিশ্ব মানবতা’ বিষয়ক বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে লালন সংগীত পরিবেশন করেন, বাংলাদেশের বিশিষ্ট লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন, সমির বাউল, ফকির নহির শাহ ও যুক্তরাষ্ট্রের কিথ ই কান্তু ও ফ্রান্সের দেবরা জান্নাত।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাউলকুঞ্জে বসেছিল বাউল গানের আসর। বাউল নূরতাজ দেওয়ান গেয়ে শোনান- ‘বাড়ির পাশে আরশীনগর..’, পাগলা বাবুল গেয়ে শোনান ‘এমন মানবসমাজ কবে
গো সৃজন হবে’, সন্ধ্যা রাণী দত্তের কণ্ঠে গীত হয় ‘সত্য বল সুপথে চল ওরে আমার মন’ শীর্ষক সঙ্গীত। রতন দেওয়ানের গাওয়া গানের শিরোনাম ছিল ‘দয়াল নাম যার হৃদে ভরা’।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয় :: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
-
টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ
-
যুদ্ধকে ‘না’ বলুন :: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
-
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইস্তিকার নামাজ আদায়
-
টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত
-
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
-
বখাটেদের টাকা না দেওয়ায় প্রবাসীকে নিয়ে তুলকালাম!
-
শিক্ষাবিদ আব্দুল মোমেনের দাফন সম্পন্ন