প্রথম পাতা / অপরাধ /
ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ধান ক্ষেতে আগুন দিয়ে অভিনব প্রতিবাদ
By দৃষ্টি টিভি on ১২ মে, ২০১৯ ৮:৩২ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে চাষকৃত ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে পাকা ধান ক্ষেতে অগুন ধরিয়ে দিয়ে অভিনব প্রতিবাদ করেছেন আব্দুল মালেক সিকদার নামে এক কৃষক। রোববার(১২ মে) দুপুরে কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের বানকিনা এলাকায় তিনি ধান ক্ষেতে পেট্টোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পাকা ধানে আগুন দেখে অনেকেই ছুটে আসেন। মালেক সিকদারের এ অভিনব প্রতিবাদে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
জানাগেছে, এ মৌসুমে কালিহাতীতে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়, আর একজন শ্রমিকের দিনমজুরি ৮৫০ টাকা। এতে প্রতিমণ ধান কাটতে যে মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক। ধান রোপন, সার, কীটনাশক, আগাছা পরিস্কার, সেচ(পানি) এসব খরচ তো রয়েছেই।
ক্ষুব্ধ কৃষক আব্দুল মালেক সিকদার বলেন, প্রতিমণ ধানের দাম থেকে প্রতি শ্রমিকের মজুরির মূল্য দ্বিগুণ। এবার ধান আবাদ করে আমরা মাঠে মারা পড়েছি। তাই মনের দুঃখে নিজের কষ্টের পাকা ধানে আগুন দিয়েছি।
এদিকে, কালিহাতীর আউলটিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান মজনু নামের অপর এক কৃষক তার ক্ষেতের পাকা ধান এলাকাবাসীকে বিনামূল্যে দিয়ে দিয়েছেন। এলাকাবাসী ধান কেটে অর্ধেক অংশ নিজে এবং বাকি অর্ধেক অংশ ক্ষেত মালিককে দিয়ে দিচ্ছেন।
রকিবুল ইসলাম নামে এক চাষী বলেন, বীজতলা থেকে শুরু করে প্রতিমণ ধান ঘরে তুলতে হাজার টাকার উপরে খরচ হয়। কিন্তু ধান বিক্রি করছি খরচের অর্ধেক দামে। এবার আমরা পথে বসে গেছি। এছাড়া আরো কয়েকজন কৃষক আক্ষেপ করে বলেন, কৃষককে ধানের ন্যায্য দাম দিয়ে বাঁচাতে হলে সরকারের আশু পদক্ষেপ প্রয়োজন।
কালিহাতীর এলেঙ্গায় শ্রমিকের হাটে গিয়ে দেখা যায়, রংপুর থেকে আসা একজন শ্রমিক ৮০০ থেকে ৯০০টাকায় প্রতিদিনের জন্য বিক্রি হচ্ছে। সেইসাথে তাদেরকে ধানের জমির মালিকে তিনবেলা খাবারও দিতে হচ্ছে।
কৃষি নিয়ে কাজ করা এনজিও কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, বর্তমানে কৃষকদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। লাভ তো দূরের কথা, ধান চাষ করে কৃষক আর্থিকভাবে বিপুল পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন পাকা ধানক্ষেতে আগুন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য দেয়া উচিত। কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ প্রসঙ্গে কালিহাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএম শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে ধানের উৎপাদন খরচ ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা। আর ধানের বর্তমান বাজার মূল্যে প্রতি বিঘায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। এতে কৃষকের লোকসান হচ্ছে। এমতাবস্থায় সরকারকে কৃষিকাজে যান্ত্রিকীকরণ ও ভর্তুকির পরিমাণ বড়ানো প্রয়োজন। তবেই কৃষক উপকৃত হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
মধুপুরে বারোয়ারী মন্দির ও বনে অগ্নিকাণ্ডে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ!
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
-
মির্জাপুরে গভীর রাতে কৃষি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা
-
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস :: তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে- বেড়েছে হয়রানিও
-
করোনার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে নতুন উপসর্গ
-
নাগরপুরে কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মৃত্যু শয্যায়
-
নাগরপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত
-
১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা