দৃষ্টি নিউজ:

দীর্ঘ ২৫ বছর আগে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সিং এর চাকুরি করতেন মনোয়ারা বেগম। সে সময় বেসরকারি সংস্থা সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সংসদে (এসডিএস) ২৫ হাজার টাকা আমানত রেখেছিলেন। তারপর এসডিএসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তিনি ওই টাকার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন। দুই যুগেরও বেশি সময় পর তার আমানতের টাকা পেয়ে তিনি খুব খুশি। মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘এই কষ্টের টাকা ফেরত পাবো তা কল্পনাও করিনি। দীর্ঘদিন পর টাকা গুলো পেয়ে খুব ভাল লাগছে’। শুধু মনোয়ারা বেগম নয়, তার মতো তিন শতাধিক গ্রাহককে (আমানতকারী) প্রায় কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার(১০ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইল শিশু একাডেমিতে নাজমুল এগ্রোফিসারিজ অ্যান্ড ডেইরী ফার্মের উদ্যোগে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ঈদুল আযহার আগেও অর্ধশতাধিক গ্রাহকের মাঝে ৩০ লাখের বেশি টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
এসডিএস’র আমানতকারীদের টাকা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) ইয়াসির আরাফাত, সরকারি কৌশলী শফিকুল ইসলাম রিপন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তানবীর আহম্মেদ, এসডিএসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হুদা প্রমুখ।
টাকা ফেরত পাওয়া আমানতকারী মো. ওবায়দুল্ল্যাহ বলেন, ‘৫০ হাজার টাকা খুব কষ্ট করে জমিয়েছিলাম। টাকা গুলো ফেরত পেয়ে খুবই উপকার হলো। ফেরত পাওয়া টাকাগুলো মেয়ের পড়াশোনার কাজে ব্যয় করতে পারবো’।
এসডিএস গ্রাহক কমিটির সভাপতি সালাম চাকলাদার বলেন, ‘গ্রাহকের(আমানতকারী) টাকা ফেরত দিতে আমরা দীর্ঘদিন আইনী লড়াই করেছি। যাদের ডকুমেন্টস আছে- শুধু তাদেরকেই টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে’।
এসডিএসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হুদা বলেন, ‘আমানতকারীদের(গ্রাহক) টাকা ফেরত দিতে বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। যাদের কাছে ডকুমেন্টস আছে, তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাদেরই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে’। এ কার্যক্রম সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
