জামিনের পর নিজ এলাকায় লতিফ সিদ্দিকী
দৃষ্টি নিউজ:

মহান মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের কমান্ডার ইন চিফ, সাবেক মন্ত্রী সদ্য জামিনপ্রাপ্ত আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি পরিষদ দেশ চালাচ্ছে- এটাকে আমি সরকার বলিনা। জুলাই অভ্যুত্থানের পর সরকারের প্রতি মানুষের অনেক আকাঙ্খা, অনেক আশা ছিল। কিন্তু তার লক্ষ ভাগের এক ভাগও পুরণ হয় নাই। শুক্রবার(১৪ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটিতে জুমআ’র নামাজ শেষে উপস্থিত কর্মী-সমর্থক-অনুসারীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু মানুষের আকাঙ্খা পুরণ করতে পারে নাই, জিয়া পারে নাই, এরশাদ পারে নাই, খালেদা জিয়া পারে নাই- আর একজনের নামই আমি বলতে চাইনা।
তিনি আরো বলেন, জীবদ্দশায় আমি আর কোনো রাজনৈতিক দল করবোনা। কিন্তু বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর পাশে সারাজীবন থাকবো।
এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, এ দেশে জয় বাংলা বললে যদি অপরাধ হয় তাহলে আমাকে প্রথম গ্রেপ্তার করতে হবে। আমাদের লোকজন সর্ব সময় সর্বত্র ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলবে।

তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে আগেই চেনার কারণে আমি অন্তরের অন্তস্থল থেকে শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আমরা আনেক পরে তাঁকে চিনতে পেরেছি- আমি তো আরো পরে চিনেছি। শেখ হাসিনা ড. ইউনূসকে অনেক আগেই চিনেছিলেন- তিনি তাঁকে সুদখোর বলতেন।
বঙ্গবীর বলেন, আমি আওয়ামীলীগ করেছি। ভাসানীর আওয়ামীলীগ করেছি, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগ করেছি, গণমানুষের আওয়ামীলীগ করেছি। আমি নারী প্রেম করি নাই, বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছি, বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে দেশকে ভালোবাসতে শিখেছি। দেশপ্রেম সহজ জিনিস না। দেশপ্রেম ধারণ করতে তপস্যা করতে হয়, ধৈর্য্য ধারণ করতে হয়। গণমানুষের ভালোবাসা পেলে দেশপ্রেম হয়ে যায়।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধাদের আমি সমর্থন করি। কারণ শেখ হাসিনার পতন প্রয়োজন ছিল- দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। কিন্তু অভ্যুত্থান পরবর্তী জুলাইযোদ্ধাদের কার্যক্রমকে একবিন্দুও সমর্থন করিনা। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য লায়লা সিদ্দিকী, কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, শামিম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, বীরমুক্তিযোদ্ধা এবং বিভিন্ন এলাকার সিদ্দিকী পরিবারের কর্মী-সমর্থক-অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে, শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়ায় সুলতান আলাউদ্দিন হোনাইন শাহ কাশ্মিরী(র.) এর মাজার জিয়ারত করেন। পরে দুই সহস্রাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষ এলেঙ্গায় তাকে স্বাগত জানায় এবং নিজ গ্রাম ছাতিহাটীতে নিয়ে আসেন। সেখানে তিনি পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত শেষে জুমআ’র নামাজ আদায় করেন।
