প্রথম পাতা / টপ সংবাদ /
অদম্য জুয়েলের সাহসী স্বপ্ন ‘ফ্রেন্ডশিপ স্কুল’
By দৃষ্টি টিভি on ৬ মার্চ, ২০১৭ ৭:১৬ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:

সম্প্রতি বিএফইউজে’র সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ওই স্কুলে পৌঁছলে এক ক্ষুদে শিক্ষার্থী ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও বিএফইউজে’ন সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদেরকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে জুয়েল আহমেদ নামে এক তরুণ টাঙ্গাইলে ৪ টি অবৈতনিক ফ্রেন্ডশিপ স্কুল প্রতিষ্ঠা করে স্বপ্ন বুনে চলেছেন। এই তরুণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র। ২০১২ সালে জুয়েল আহমেদ একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় নিজ বাড়ি আদি টাঙ্গাইলে ফ্রেন্ডশিপ স্কুলের প্রথম শাখাটি চালু করেন।
সেই সময় জুয়েল আহমেদ তার নিজের ও আশেপাশের এলাকার প্রায় ২৯ জন ঝড়েপড়া ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে খুজে বের করে তার ওই স্কুলে ভর্তি করান ও পড়ালেখার সুযোগ করে দেন। তার সাধ্য অনুযায়ীই এই শিশুদেরকে শিক্ষা উপকরণ দিতে থাকেন। তখন এই স্কুলে ৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা পাঠদান করাতেন। স্বপ্নবান মেধাবী তরুণ জুয়েল আহমেদ ইংরেজি মাধ্যমের কয়েকজন ছাত্র পড়িয়ে যে সামান্য সম্মানী পেতেন, তা দিয়েই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অল্প কিছু সম্মানী দিয়ে কোন রকমে স্কুলটি চালাতেন। বর্তমানে ফ্রেন্ডশিপ স্কুলের ৪ টি শাখায় প্রায় ৪০০ সুবিধাবঞ্চিত শিশু বিনাবেতনে পড়ালেখা করার সুযোগ পাচ্ছে। বর্তমানে ফ্রেন্ডশিপ স্কুলে ৪টি শাখায় ১৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে।

নতুন বছরে নতুন বই হাতে ফ্রেন্ডশিপ স্কুলের শিক্ষার্থীরা
জুয়েল আহমেদ আউটসোর্সিং, সাংবাদিকতা সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর রিসার্চ করে যে সম্মানী পান, তা দিয়েই তার এ স্কুলগুলো কোন রকমে চলছে। এত অল্প বয়সী তরুণের এই ধরনের জ্ঞান বিতরণী কাজ করছেন- যা বিস্ময়কর। বিশ্ব শান্তি কামনায় জ্ঞান বিতরণে এই তরুণের এ উদ্যোগ একটি রোল মডেল। এই তরুণের স্বপ্ন পর্যায়ক্রমে একদিন সমগ্র বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল সুবিধাবঞ্চিত শিশু মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। তাঁর এই স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে সকলের এগিয়ে আসা উচিত বলে অনেকেই মনে করেন। বিষয়টি সরকারের উর্ধতন কর্তৃপরে নজরে এলে এই তরুণের স্বপ্ন তথা সমাজ খুব দ্রুত এগিয়ে যাবে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল টাঙ্গাইল শহরের হাউজিং বস্তিতে অবস্থিত ফ্রেন্ডশিপ স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র মো. জামিলুর রহমান মিরণ বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে জুয়েলের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার। তিনি ফ্রেন্ডশিপ স্কুলের বিষয়ে খুবই আন্তরিক। তবে সমাজের সবাই এগিয়ে এলে এই স্কুলগুলোকে টিকিয়ে রাখা তথা সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন বলেন, এই তরুণ যে কাজ করছে তা দেখে সত্যিই আমি বিস্মিত হয়েছি। আশা করি, জুয়েল সবাইকে নিয়ে একদিন সমগ্র বিশ্বে এই কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে সম্ভব হবে। তাঁর লালিত স্বপ্ন একদিন পুরণ হবে।
মন্তব্য করুন
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
কোটি টাকা হাতিয়ে আদম বেপারী লাপাত্তা!
-
টাঙ্গাইলের ৮টি আসনে ১২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
-
যমুনায় জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর, নৌ চলাচল ব্যাহত
-
টাঙ্গাইলের ৪টি আসনে তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
-
টাঙ্গাইল-১, ৫ ও ৬ আসনে লড়ছেন তিন ‘খন্দকার’
-
সারাদেশে ৫.৬ মাত্রার ভূকম্পন
-
সব ওসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
-
ভিক্ষুকের মরদেহের পরিচয় চায় পুলিশ
আপডেট পেতে লাইক করুন
