দৃষ্টি নিউজ:
আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আসন্ন ২০তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে। সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীতে এসব পরিবর্তন আসবে। দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীতে নতুন ৯ জন সদস্য যুক্ত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া সম্পাদকমণ্ডলীতে অন্তত ১৫টি পদে পরিবর্তন আসতে পারে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যা য়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
দলীয় সূত্র মতে, নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে দুটি বিষয়ে। সেগুলো হলো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং আগামী দিনের জন্য যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ১৫। এর মধ্যে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদাধিকারবলে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। সম্মেলন সামনে রেখে দলের গঠনতন্ত্র সংশোধনের লক্ষ্যে গঠিত সাব-কমিটি সূত্রে জানা যায়, আগামী সম্মেলনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যসংখ্যা ৪টি বাড়িয়ে ১৯ করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলনের পর গঠিত কমিটিতে সভাপতিমণ্ডলীর দুটি পদ শূন্য রাখা হয়েছিল। আর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন মারা গেছেন। ফলে বর্তমান কমিটিতে সভাপতিমণ্ডলীর তিনটি পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া আগামী কাউন্সিলে সভাপতিমণ্ডলীর দুজন সদস্য বাদ পড়তে পারেন। ফলে সব মিলিয়ে সভাপতিমণ্ডলীতে নতুন অন্তর্ভুক্ত হবেন ৯ জন।
দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীতে নতুন করে যাঁদের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাঁদের মধ্যে আছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই ও সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। এই তিনজনই বর্তমানে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য। এ ছাড়া সভাপতিমণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং দলের দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও দীপু মনির। সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মুহম্মদ ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, আসাদুজ্জামান নূর, নুরুল ইসলাম নাহিদেরও সভাপতিমণ্ডলীতে স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভূমিমন্ত্রী ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান শরিফ ডিলুকেও দেখা যেতে পারে সভাপতিমণ্ডলীতে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এএইচএম কামরুজ্জামানের সন্তান এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে সংগঠনে অনেক বেশি সময় দিচ্ছেন। আগে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে রাজশাহীকেন্দ্রিক রাজনীতিতে বেশি সময় দিলেও এক বছর ধরে তিনি কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সময় দিচ্ছেন। সভাপতিমণ্ডলীতে তাঁর ঠাঁই হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এ ছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সভাপতিমণ্ডলীতে স্থান দিয়ে সম্মান দেখাতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই প্রবীণ নেতা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিগত নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি বিরত থাকেন। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড মূলত মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ঘিরেই পরিচালিত হয়।
অন্যদিকে স্থানীয় জনমতকে রামপাল বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের পক্ষে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রতি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সন্তুষ্ট বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। সেই বিবেচনায় এবার তিনি দলের সভাপতিমণ্ডলীতে স্থান পেতে যাচ্ছেন। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন ধরেই ওই অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা। তিনি বর্তমানে বাগেরহাট থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তাঁর নির্বাচনী এলাকায়ই আলোচিত রামপাল বিদু্যৎকেন্দ্র হচ্ছে। এ ছাড়া সাংগঠনিক দক্ষতা ও সংকটময় সময়ে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান বিবেচনায় নিয়ে সভাপতিমণ্ডলীতে স্থান দেওয়া হতে পারে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে। বর্তমানে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মায়ার সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন নেই আওয়ামী লীগের কোনো পর্যা য়েই। তবে তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়া নিয়ে কিছুটা ভাবমূর্তির সংকট রয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রবীণ তিন নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে সভাপতিমণ্ডলীতে। বর্তমানে এই তিন নেতা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।
পদোন্নতি পাওয়ার সম্ভাবনা যাঁদের: আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলী ও কার্যনির্বাহী সংসদের কয়েকজন সদস্য পদোন্নতি পেতে যাচ্ছেন। দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের তিন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও দীপু মনির পদোন্নতি হচ্ছে। দলের সাত সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম পদোন্নতি পেতে যাচ্ছেন। তাঁকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হচ্ছে। সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মুহম্মদ ফারুক খান, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আসাদুজ্জামান নূর, অসীম কুমার উকিলেরও পদোন্নতি ঘটছে। তবে দলের একটি সূত্রের মতে, আসাদুজ্জামান নূর ও নুরুল ইসলাম নাহিদের মধ্যে যেকোনো একজন সভাপতিমণ্ডলীতে স্থান পাবেন।
সূত্র মতে, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের মধ্যে মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিন, নসরুল হামিদ বিপু, এস এম কামাল হোসেন পদোন্নতি পেয়ে সম্পাদকমণ্ডলীতে ঠাঁই পেতে পারেন।
কমিটিতে আসছে বেশ কিছু নতুন মুখ: দলের নীতিনির্ধারণী পর্যা য়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবারের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে বেশ কিছু নতুন মুখ যুক্ত হতে যাচ্ছে। এর বেশির ভাগই তরুণ প্রজন্মের। আগামী দিনে আওয়ামী লীগের যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ তরুণ নেতারা কমিটিতে স্থান পাবেন।
সূত্র মতে, কমিটিতে নতুন মুখ হিসেবে দেখা যেতে পারে সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পাপনকে। তাঁকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বা ক্রীড়া সম্পাদক করা হতে পারে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাকের ছেলে নাহিম রাজ্জাক এমপি, ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ এ আরাফাত, আহসানউল্লাহ মাস্টারের ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত আব্দুস সামাদ আজাদের ছেলে আজিজুস সামাদ ডন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস ও কাজী নাবিল আহমেদ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেতে পারেন। এ ছাড়া নারীদের মধ্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি এমপি, নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রয়াত শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর মেয়ে উমা চৌধুরীকে দেখা যেতে পারে কমিটিতে।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ করে প্রয়াত হয়েছেন এমন নেতাদের সন্তান যাঁরা সুশিক্ষিত, তাঁদের কেউ কেউ আগামী কমিটিতে স্থান পাবেন।
স্থান হতে পারে কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতার: আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মধ্যে কয়েকজনের ঠাঁই হতে পারে নতুন কমিটিতে। দলীয় সূত্রগুলো জানায়, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে বাহালুল মজনুন চুন্নু, আব্দুল মান্নান, শাহে আলম, মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, ইসহাক আলী খান পান্না, লিয়াকত শিকদার, নজরুল ইসলাম বাবু, মাহমুদ হাসান রিপন ও মাহাফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটনের মধ্যে দুই-তিনজনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে লিয়াকত শিকদারের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যা লয়ের কর্মকর্তা মাহবুবুল হক শাকিল ও সাইফুজ্জামান শিখরও কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেতে পারেন। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মারুফা আক্তার পপি, মাজহারুল ইসলাম মানিক, আহসানুল হক পিন্টুরও সম্ভাবনা রয়েছে।
আলোচনায় ববি: বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিকে ঘিরে নানা আলোচনা চলছে দলের কেন্দ্রীয় অনেক নেতার মধ্যে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার মতে, ববিকে কমিটিতে যুক্ত করা হতে পারে। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার সন্তান ববি দীর্ঘদিন ধরে দেশে অবস্থান করে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) নানা কাজের তত্ত্বাবধান করছেন। এসব কাজে তিনি সফলতাও দেখিয়েছেন।
দলীয় একটি সূত্র মতে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সম্প্রতি সত্তরে পা দিয়েছেন। এখন বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় প্রজন্মকে ধীরে ধীরে দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় করা প্রয়োজন। শেখ হাসিনার একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। তিনি এখন সে কাজেই বেশি ব্যস্ত। মা প্রধানমন্ত্রী থাকাবস্থায় তিনি সরাসরি দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত হতে এবং দেশে থাকতে চান না। নিজেকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই তাঁর এমন মনোভাব। এ ক্ষেত্রে দেশে অবস্থানরত ববিকে দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত করা হতে পারে।
ববির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রে জানা যায়, সরাসরি দলীয় রাজনীতি এবং জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে ববি এখনো নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত বলে মনে করেন না। বিভিন্ন সময়ে তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের এমনটা জানিয়েছেন। তবে তিনি রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বনানী ও গুলশান নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আগামী নির্বাচনেই যে তিনি অংশ নেবেন সেটি নিশ্চিত নয়।
আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নিজের সন্তান ও বোনের সন্তানদের সমান দৃষ্টিতে দেখেন। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্ররা কে কখন কোথায় কী কাজ করবেন। তাঁদের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে একমাত্র নেত্রীই (শেখ হাসিনা) ভালো জানেন। তবে জয় বা ববি যখনই সরাসরি দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত হবেন, আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা তাঁদের স্বাগত জানাবে।’