আজ- বৃহস্পতিবার | ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ আশ্বিন, ১৪৩২ | রাত ১১:৫১
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ আশ্বিন, ১৪৩২
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩ আশ্বিন, ১৪৩২

আওয়ামীলীগ থেকে পাঁচবার বহিস্কৃত হয়েছি, ছাড়তে পারিনি :: লতিফ সিদ্দিকী

দৃষ্টি নিউজ:


প্রাজ্ঞ রাজনীতিক ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, আমি আওয়ামীলীগ থেকে পাঁচবার বহিস্কৃত হয়েছি। আওয়ামীলীগ আমাকে ছাড়তে পারেনি, আমিও আওয়ামীলীগ ছাড়তে পারিনি। আওয়ামীলীগ আমার অস্থি-মজ্জার সাথে মিশে আছে। আর আনুগত্য! বঙ্গবন্ধুর প্রতি আনুগত্যে আমি পাস করেছি, আওয়ামীলীগের প্রতি আমার আনুগত্য তো আছেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার নেতা- আমার বিশ্বাস, জনগন আমার দেবতুল্য। আনুগত্যে আমার কোন কমতি নেই, আনুগত্যে আমি গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত।
আওয়ামীগের সাবেক এ প্রেসিডিয়াম মেম্বার বলেন, নেতার (শেখ হাসিনা) প্রতি অবিচল আস্থা নিয়ে নেতা ও জনগনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ভাই-বোন রক্তের সম্পর্ক আর জনগনের সাথে নেতার সম্পর্ক আত্মার। ভাই-বোনকে ত্যাগ করা যায়, স্ত্রীকে কি কেউ ত্যাগ করে? তার সাথে রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও থাকে আত্মার সম্পর্ক, জনগনের সাথে তাই আমার সম্পর্ক প্রেমের, ভালবাসার, আত্মার। আজকের এ উপস্থিতি প্রমাণ করে কালিহাতীর জনগন আমাকে ছাড়ে নাই, আমিও কোন এ সম্পর্ক ছিন্ন করিনি আর করবোও না। আমি কালিহাতীবাসীর সাথে আছি-থাকবো; পকেটে নয়, পোস্টারে নয়- অন্তরে থাকতে চাই। তিনি শনিবার(৫ মে) বিকালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ইছাপুর শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের সংগঠক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, যাঁরা এ অনুষ্ঠানে থাকতে চেয়ে আসেন নাই তারা এবং তাদেরকে যাঁরা আসতে দেন নাই তারা মিলে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে এমন একটা সভা করে দেখান দেখি- জনগন আপনাদের ডাকে কতটা সাড়া দেয়। তিনি বলেন, কালিহাতীর সব মানুষই আমার সন্তান, আমার ভাই, আমার কর্মী। অঅমার কোন অভিমান নেই- সকলের জন্য দোয়া করি, তাদের যেন মঙ্গল হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারন করে তিনি ইছাপুর শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালে ইতিবৃত্ত বর্নণা করেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। তাঁর মতো যোগ্য নেতা পাওয়া আমাদের ভাগ্যের ব্যাপার। তিনি বলেন, ড. কামাল বড় আইনজ্ঞ তিন্তু জনগনের ভাষা বোঝেন না আর ইউনূস তো সুদের বেপারী। কাকে নেতা বলবেন? প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যিনি দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি, না অন্য কেউ? জনগনের মঙ্গলের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকেই বাংলাদেশের নেতা বানাতে হবে- এটা বারবারই করতে হবে।
সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত আনোয়ার উল আলম শহীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সাংসদ বেগম লায়লা সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান, কালিহাতী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল মজিত তোতা, এলেঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নুর-এ-আলম সিদ্দিকী, সংবর্ধিত বাংড়া ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. হাসমত আলী নেতা, নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান সিদ্দিকী মিল্টন, কালিহাতী উপজেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক শরিফ আহাম্মেদ রাজু প্রমুখ।
জননেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর আসায় সংবর্ধনাস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়ে বিশাল জনসভায় রূপ নেয়। দীর্ঘদিন পর প্রিয় নেতাকে দেখতে ও তার কথা শুনতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আ’লীগ, যুবলীগ, মহিলা আ’লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ছাড়াও সব শ্রেণির-সব পেশার প্রায় ১০ হাজার মানুষ ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে নিউইয়র্কের টাঙ্গাইল সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে হজ নিয়ে বেফাঁস বক্তব্য দিয়ে প্রাজ্ঞ এ পার্লামেন্টারিয়ান মন্ত্রীত্ব, দলের প্রেসিডিয়াম ও সদস্য পদ হারান। পরে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর আকস্মিকভাবে জাতীয় সংসদে উপস্থিত হয়ে ১৫ মিনিটের ঐতিহাসিক বক্তব্য দিয়ে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়