প্রথম পাতা / টপ সংবাদ /
আজ গোপালপুরের মাহমুদপুর গণহত্যা দিবস
By দৃষ্টি টিভি on ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের গোপালপুরের মাহমুদপুর-পানকাতা গণহত্যা দিবস আজ। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আজকের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার এদেশীয় দোসর, রাজাকার-আলবদররা উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের মাহমুদপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার বলিভদ্র ইউনিয়নের পানকাতা গ্রামে নৃশংসভাবে গণহত্যা চালিয়ে ১৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ৫০-৬০টি ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ব্যাপক লুটতরাজসহ আরও ৬০-৬৫ গ্রামবাসীকে গুরুতর আহত করে। যাদের কয়েকজন এখনো পঙ্গুত্ববরণ করে মৃতপ্রায় অবস্থায় বেঁচে রয়েছেন। এলাকাবাসী বিভিন্ন আয়োজনে আজ দিবসটি পালন করবে।
জানাগেছে, ১৯৭১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর(বৃহস্পতিবার) টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানা সদর থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একটি দল প্রায় দুই শতাধিক রাজাকার- আলবদরকে সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকার তৎকালীন এমএনএ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রয়াত হাতেম আলী তালুকদারের বাড়ি হাদিরা ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রাম এবং আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত পাশের পানকাতা, বলিভদ্র, কেরামজানী, সয়া ও ইস্পঞ্জিরাপুর গ্রাম গুঁড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশে আক্রমণ চালায় এবং প্রথমে তিনজন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে লুটপাট করতে থাকে।
এ সময় ধনবাড়ী উপজেলার কেরামজানী বাজারে অবস্থান করা কাদেরিয়া বাহিনীর ‘হনুমান’ কোম্পানির কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙাল তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পাকিস্তানি হানাদারদের প্রতিহত করার লক্ষ্যে পানকাতা গ্রামে পৌঁছে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেন।
প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী এই যুদ্ধের শেষপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটলেও হানাদার বাহিনীর অগ্রযাত্রাকে তারা থামিয়ে দিতে সমর্থ হন। এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর কেউ হতাহত না হলেও হানাদার বাহিনীর এক সেনাসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়। এ সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী প্রবল উন্মাদনা ও হিংস্রতায় আশপাশের বাড়ি-ঘরে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয় এবং লুটপাটসহ পানকাতা গ্রামের উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত নৃশংসভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ১৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে স্থানীয় এলাকাবাসী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাদ জুমা মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, তবারক বিতরণ ও নিহতদের স্মরণে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা। কর্মসূচিতে তৎসময়ের কিংবদন্তিতুল্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদেরিয়া বাহিনীর হনুমান কোম্পানির কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
গণপিটুনির বিষয়ে সংবিধান ও আইনে কী বলা আছে?
-
দেশের চাঁদাবাজদের সমূলে ধ্বংস করা হবে :: শাকিল উজ্জামান
-
এলেঙ্গায় ভ্যানচালক জিহাদ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
-
ধনবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত
-
নাগরপুর চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
-
ঘাটাইলে বন থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
-
টাঙ্গাইল চেম্বারের প্রেসিডেন্ট বেনজীর আহমেদ টিটো
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়া উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম