আজ- শনিবার | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | রাত ১২:০০
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

আ’লীগে যোগ দিচ্ছেন মুরাদ সিদ্দিকী!

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-pic-fol-5
টাঙ্গাইলের আলোচিত সিদ্দিকী পরিবারের সন্তান মুরাদ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন কি-না তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হওয়ায় আব্দুর রাজ্জাককে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সমর্থকদের নিয়ে উপস্থিত হন মুরাদ সিদ্দিকী। এরপরই মুরাদ সিদ্দিকীর আওয়ামী লীগে যোগদান নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
শনিবার(২৯ অক্টোবর) জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলের সভাপতিম-লীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে কয়েকশ সমর্থক নিয়ে মুরাদ সিদ্দিকী উপস্থিত হন।
মুরাদ সিদ্দিকীর বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকী শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ছিলেন। হজ নিয়ে বিদেশে অযৌক্তিক বক্তব্য দেয়ার কারণে দল ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। এর আগে মুরাদ সিদ্দিকীর অন্য বড় ভাই আবদুল কাদের সিদ্দিকী ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ ছেড়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেন। মুরাদ সিদ্দিকীও সে সময় কাদের সিদ্দিকীর দলে চলে যান। ২০০১ সালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে নির্বাচন করেন। ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের পর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে মুরাদ সিদ্দিকীর দূরত্ব তৈরি হয়। এরপর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ছেড়ে দেন তিনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন। ওই নির্বাচনে লতিফ সিদ্দিকী তাকে সহযোগিতা না করায় এ নিয়ে মতবিরোধ হয়।
দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আব্দুর রাজ্জাককে শুভেচ্ছা জানান মুরাদ সিদ্দিকী। এরপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয় মুরাদ সিদ্দিকীর আওয়ামী লীগে ফিরে যাচ্ছেন। মুরাদ সিদ্দিকীর একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান, প্যানেল মেয়র সাইফুজ্জামান সোহেল, গোলাম কিবরিয়া (বড় মনি), তানভীর হাসান(ছোট মনি) আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। এরা দলের বিভিন্ন পর্যায়ে পদও পেয়েছেন।
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হওয়ার পর মুরাদ সিদ্দিকী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ঢাকায় সাক্ষাৎ করে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। শনিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে প্রথম সারির আসনে বসেন তিনি। অনুষ্ঠানে তাকে সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের।
জেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ একাধিক শীর্ষ নেতা মুরাদ সিদ্দিকীকে দলে নিতে তৎপর। সভাপতিরও আপত্তি নেই। তবে মুরাদ সিদ্দিকীর যোগদানের বিষয়ে খান পরিবারের সমর্থকরা ঘোর বিরোধী।
এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, মুরাদ সিদ্দিকী আমাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন। তার যোগদানের ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছে। দলীয় সভানেত্রীর মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ বিষয়ে মুরাদ সিদ্দিকী বলেন, আমি আজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করছি। বড় ভাইয়ের সঙ্গে তার দলে গিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুদিন সেখানে কাজ করার পর নিষ্ক্রিয় হয়ে যাই। এখন আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাই।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়