আজ- রবিবার | ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫
১২ মাঘ, ১৪৩১ | ভোর ৫:১৯
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫
১২ মাঘ, ১৪৩১
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২ মাঘ, ১৪৩১

উচ্চ আদালতে সখীপুরের সাব্বির খালাস ॥ ইউএনও-ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

দৃষ্টি নিউজ:

dristytv-7
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিক্ষার্থী সাব্বির শিকদারকে দেয়া সাজা অবৈধ ঘোষণা করে তাকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে আদালতে দেয়া সাব্বিরের বক্তব্য অভিযোগ হিসেবে গ্রহণ করে টাঙ্গাইলের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ওই ইউএনও এবং ওসি-কে টঙ্গাইল জেলা থেকে প্রত্যাহার করে ঢাকা ডিভিশনের বাইরে বদলি করার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ মঙ্গলবার(১৮ অক্টোবর) এই আদেশ দেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলিস্টারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি আদালতে বলেন, ডেইলিস্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  টাঙ্গাইল-৮(সখীপুর-বাসাইল) আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহানকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই শিক্ষার্থীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে জিডি হলে তদন্ত হবে। তদন্ত ছাড়া এভাবে কাউকে দণ্ড দেওয়া যায় না।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের এই বক্তব্য উপস্থাপনের পর হাইকোর্ট কারাদণ্ড পাওয়া শিক্ষার্থী সাব্বির শিকদারকে জামিন দেন। সেই সাথে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিক্ষার্থী সাব্বির শিকদারকে দুই বছর সাজা দেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে তলব করা হয়। শিক্ষার্থী সাব্বির শিকদারকেও একইদিন আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওইদিন রুলসহ এই নির্দেশ দেন।
এরপর গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের তলবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। এইদিন আদালতে ওসি’র পক্ষে ছিলেন আইজীবী নুরুল ইসলাম সুজন আর ইউএনও’র পক্ষে ছিলেন আইজীবী শ ম রেজাউল করিম।
আদালত এইদিন শিক্ষার্থী সাব্বির শিকদারের কাছ থেকেও ঘটনার বর্ণনা শুনতে চান। এ সময় আদালতে অশ্রুসিক্ত নয়নে ঘটনার বর্ণনা দেন সাব্বির। সে নিজেকে নির্দোষ  দাবি করে  বলেন, এই ঘটনায় ‘ওসি সাহেব আমাকে ক্রসফায়ার দেওয়ার ভয় দেখিয়েছেন। ইউএনও সাহেব আমাকে লাথি মেরেছেন।  এমপি সাহেব আমাকে ২টা বাড়ি (মার) দিয়েছেন।’
এরপর আদালত ওই শিক্ষার্থীর দেয়া বক্তব্য এফিডেভিট আকারে জমা দেওয়ার জন্য আইনজীবী খুরশীদ আলম খানকে বলেন। সেই সাথে আদালত এই বিষয়ে আদেশের জন্য ১৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়