দৃষ্টি নিউজ:
কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বলেছেন, এখন জাতীয় সংসদে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ঠাঁই নেই- ঠাঁই নেই রাজনৈতিক অঙ্গণেও; জাতীয় সংসদ এখন ব্যবসায়ী আর লুটেরাদের দখলে। রাজনীতিবিদ ছাড়াই চলছে সংসদ। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এখন একটি গোষ্ঠী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাদেরকে অস্বীকার করতে চায়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর আমরা বঙ্গবন্ধুর পায়ের কাছে অস্ত্র জমা না দিয়ে যদি কাঁধে তুলে নিতাম, তাহলে কারও সাধ্য ছিলনা অস্বীকার করে। সেদিন বঙ্গবন্ধুর পায়ের কাছে অস্ত্র জমা দেওয়া কোন কাজেই আসেনি। আমি ভুল করেছিলাম, আমি আওয়ামী লীগের ঘরে জন্ম গ্রহন করেছিলাম। আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। বর্তমানের আওয়ামী লীগ আর বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের সাথে কোন মিল খুঁজে পাই না।
বঙ্গবীর বলেন, নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ভোট কারচুপির দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওই নির্বাচনে শামিম ওসমান প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মেরে গণমাধ্যমে তা প্রদর্শন করে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। সে জন্য নির্বাচন কমিশনের উচিৎ ছিল তাৎণিক আইভীর প্রার্থীতা বাতিল করা অথবা শামিম ওসমানকে শাস্তি দেয়া। কিন্তু মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন তা না করে আবারোও ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছে। শনিবার(২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও টাঙ্গাইল জেলা সম্মেলনের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আইভী জিতেছে নারায়নগঞ্জবাসীর প্রকৃত ভোটে। আইভী নির্বাচনে আরো ১০ হাজার ভোট বেশি পেত, যদি শামীম ওসমান তার পে কাজ না করতো।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়ছার, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, বঙ্গবীরের পত্নী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট কবি বুলবুল খান মাহবুব, কাদেরীয়া বাহিনীর প্রশাসক ও মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত করিমসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।