প্রথম পাতা / টপ সংবাদ /
এমপি রানা’র জামিন আবেদন আবার নামঞ্জুর
By দৃষ্টি টিভি on ১৬ অক্টোবর, ২০১৬ ৪:৫৭ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি এমপি আমানুর রহমান খানের জামিনের আবেদন আবারও নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার(১৬ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১-এর বিচারক আবুল মনসুর মিয়া তাঁর জামিন নামঞ্জুরের এই আদেশ দেন। এই আদালতে এ নিয়ে তিনবার তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ হলো।
সাংসদ আমানুরের পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা গত বৃহস্পতিবার(১৩ অক্টৈাবর) জামিনের আবেদন করেন। আদালত রোববার(১৬ অক্টোবর) এ আবেদনের শুনানি গ্রহণ করেন। আমানুরের আইনজীবীরা যেকোনো শর্তে জামিনের প্রার্থনা করেন। তাঁরা বলেন, আমানুর একজন সাংসদ। জামিন পেলে কোনো অবস্থাতেই পালিয়ে যাবেন না। জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান ও নুরুল ইসলাম, বাদীপক্ষের আইনজীবী জোয়াহেরুল ইসলাম, এস আকবর খান ও মহসিন সিকদার।
দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর আমানুর গত ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর এই আদালতে দ্বিতীয়বার তাঁর জামিন চাওয়া হয়। আদালত সেবারও তা নামঞ্জুর করেন।
সর্বশেষ ৯ অক্টোবর হাইকোর্টে বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর আদালতে আমানুরের জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
প্রকাশ, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ টাঙ্গাইলে কলেজপাড়া এলাকায় তাঁর বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। প্রথমে থানার পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ সালের আগস্টে এই মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেপ্তার হন। আদালতে তাঁদের স্বীকারোক্তিতে সাংসদ আমানুর ও তাঁর তিন ভাইয়ের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর থেকে সাংসদ ও তাঁর ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান।
এ বছর ৩ ফেব্রুয়ারি সাংসদ আমানুর, তাঁর তিন ভাইসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। গত ৬ এপ্রিল আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইল-৩ আসনে (ঘাটাইল) আওয়ামী লীগের সাংসদ। তাঁর তিন ভাই হলেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান (মুক্তি), ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান (কাকন) ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান (বাপ্পা)।
বিগত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই খান পরিবার টাঙ্গাইল শহরে প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। তাদের দাপটের মুখে এলাকায় ও দলে কেউই মুখ খুলতে সাহস পেতেন না। ফলে চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অর্ধশত মামলা হলেও বাদী ও সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হননি। এ কারণে অনেক মামলা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। আবার কিছু মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকার প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।
মন্তব্য করুন
সর্বশেষ আপডেট
-
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির সমাবেশ
-
টাঙ্গাইলে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশ
-
টাঙ্গাইলে এবার দৃষ্টিনন্দন ২৬১ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ
-
‘জওয়ান’-এ দীপিকাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় ক্ষুব্ধ নয়নতারা
-
কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করল ভারত
-
বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ
-
টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
-
কালিহাতীতে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি অধ্যাপক আউয়ালের গণসংযোগ
আপডেট পেতে লাইক করুন
