প্রথম পাতা / টপ সংবাদ /
এলজিইডি’র দ্বিতীয় ধলেশ্বরী সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়
By দৃষ্টি টিভি on ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭ ৩:৫৭ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইল এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে নাগরপুর উপজেলার দ্বিতীয় ধলেশ্বরী সেতু এখন শুধু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। সেতুটির ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডে রঙয়ের কাজ চলছে- যা এক সপ্তার মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলে এতদাঞ্চলের ৭ লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম হবে।
জানাগেছে, টাঙ্গাইলের নাগরপুর, মির্জাপুর, দেলদুয়ার, পাবনা জেলার বেড়া, সিরাজগঞ্জের চৌহালি ও মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি নাগরপুরের মোকনা ইউনিয়নের কেদারপুর ঘাটে বেতুয়াজানী মৌজায় ধলেশ্বরী নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ করার। ওই দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। টাঙ্গাইলের নাগরপুর-মির্জাপুর ভায়া মোকনা স্থানীয় সড়কে ধলেশ্বরী নদীর উপর এতদাঞ্চলের মানুষের বহু প্রত্যাশিত সেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে তাদের আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে।
টাঙ্গাইল এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, নাগরপুর-মির্জাপুর ভায়া মোকনা স্থানীয় সড়কের কেদারপুর ঘাট নামক স্থানে ধলেশ্বরী নদীর উপর ৫২০.৬০ মিটার পিসি গার্ডার সেতু (দ্বিতীয় ধলেশ্বরী সেতু) প্রকল্পটি মেসার্স মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কার্যাদেশ পায়। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর কার্যাদেশ পেয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৫৫ কোটি ৪৭ লাখ ১৫ হাজার ৮০৭.৪৪ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর মূল কাজ এবং সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড(সংযোগ সড়ক)- এর নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।
প্রকল্পটির প্রজেক্ট ম্যানেজার আবু সাদ্দাত সায়েম জানান, সেতুর মূল কাজ শেষ হয়েছে। সংযোগ সড়ক নির্মাণের পর কার্পেটিং শেষে রেলিং পেইটিংয়ের কাজ চলছে।
টাঙ্গাইল এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সেতুটির তত্ত্বাবধায়ক সাজেদুল আলম জানান, সেতুর মূল কাজ ও অ্যাপ্রোচ রোডের কাজও শেষ হয়েছে। এখন রঙ করার কাজ চলছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন হবে। তিনি জানান, সেতুটি উন্মুক্ত হলে টাঙ্গাইলের নাগরপুর, মির্জাপুর, দেলদুয়ার, পাবনা জেলার বেড়া, সিরাজগঞ্জের চৌহালি ও মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার ৭ লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত সুগম হবে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগে ৫০-৬০ কিলোমিটার সড়কপথ সাশ্রয় হবে। ফলে বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কমবে এবং এতদাঞ্চলের স্বাস্থ, শিক্ষা, কৃষি, অর্থনীতি সহ জীবনমানের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে।
টাঙ্গাইল এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো দেলোয়ার হোসাইন মজুমদার জানান, ব্রিজের মূল কাজ (স্ট্রাকচার) ও অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ শেষ। রঙ করা সহ সৌন্দর্য বর্ধনের টুকিটাকি কাজ চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এ সেতুটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণ করা হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য খন্দকার আব্দুল বাতেন জানান, নাগরপুর-মির্জাপুর ভায়া মোকনা সড়কে দ্বিতীয় ধলেশ্বরী সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে দণি টাঙ্গাইলবাসীর যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। তিনি বলেন, সেতুটি হস্তান্তরের পর উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে এ সেতুর নামকরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
গণপিটুনির বিষয়ে সংবিধান ও আইনে কী বলা আছে?
-
দেশের চাঁদাবাজদের সমূলে ধ্বংস করা হবে :: শাকিল উজ্জামান
-
এলেঙ্গায় ভ্যানচালক জিহাদ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
-
ধনবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত
-
নাগরপুর চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
-
ঘাটাইলে বন থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
-
টাঙ্গাইল চেম্বারের প্রেসিডেন্ট বেনজীর আহমেদ টিটো
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়া উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম