আজ- ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার  দুপুর ২:৩৯

কালিহাতীতে অবৈধ বালু উত্তোলনে ভাঙছে ঘরবাড়ি ॥ হুমকিতে গ্যাসপাইপ

 

দৃষ্টি নিউজ:

0836
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে চলেছে সরকার দলীয় স্থানীয় চেয়ারম্যান হযরত তালুকদার। এ কারণে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে।  ফলে দিন দিন বিলীন হতে চলেছে আশপাশের ঘর-বাড়ি ও আবাদী জমি।
জানাগেছে, ৬ মাস আগে স্থানীয় প্রশাসন ওই উপজেলার বঙ্গবন্ধুসেতু সংলগ্ন বেলটিয়া এলাকায় যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। সেইসঙ্গে দুইটি ড্রেজার মেশিনও ধ্বংস করা হয়। এসময় হযরত তালুকদার ও তার সহযোগীরা খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। এর পর থেকে ৫ মাস বালু উত্তোলন বন্ধ থাকে। আবার মাস খানেক ধরে বালু উত্তোলন শুরু করেছে তারা। এ কারণে এবারের বন্যায় তিগ্রস্ত পরিবারগুলো নতুন করে ভাঙনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হতে চলেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বেলটিয়া এলাকায় যমুনা নদীর পার ঘেঁষে অবৈধভাবে দুইটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সেখানকার শ্রমিকরা জানান, বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর চেয়ারম্যানের নির্দেশে গত এক মাস ধরে আবার বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আর সেখান থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। ফলে নদী ভাঙনের সঙ্গে চরম হুমকির মুখে রয়েছে ট্রাক যাতায়াতকারী রাস্তার উপর দিয়ে যাওয়া গ্যাস পাইপগুলো।
স্থানীয় বাসিন্দা মজিবর রহমান ও আনসার আলী জানান, তাদের বাড়ি ছিল নদী থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। বালু উত্তোলন করার কারণে বর্তমানে নদী ভাঙতে ভাঙতে একেবারে বাড়ির কাছে এসে পড়েছে। একই সঙ্গে যে রাস্তা দিয়ে বালুভর্তি ট্রাক আসা যাওয়া করে সেই রাস্তার উপর দিয়ে গ্যাস পাইপ বসানো রয়েছে,  সেটিও এখন হুমকির মুখে। বার বার নিষেধ করেও কোন লাভ হয়নি। উল্টো হুমকির পেতে হয়েছে।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান হযরত তালুকদার বলেন, ওই বালু ঘাটটি সরকারিভাবে লিজ নেওয়া হয়েছে। আর আমি বৈধভাবেই বালু উত্তোলন করছি। তবে, বালু উত্তোলনের বৈধতার কোন কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি।
এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু নাসার উদ্দিন জানান, কালিহাতীতে কোন সরকারি বালু ঘাট বা মহাল নেই। ইতোপূর্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে হযরত তালুকদারের বালুর ঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেইসঙ্গে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দু’টি ড্রেজার পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। তবে এখন আবার তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে কি না তা তার জানা নেই। যদি তারা বালু উত্তোলন করে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno