কালিহাতী প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কলেজছাত্র হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোরে পুলিশ ৬ জনকে আটক করে কালিহাতী থানায় নিয়ে আসে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ রহস্যজনক কারণে পাঁচ জনকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে নোমানকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করে টাঙ্গাইলের আদালতে পাঠানো হয়। নোমান উপজেলার মহিষজোড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। এছাড়া একই উপজেলার ঘড়িয়া গ্রামের আ. লতিফের ছেলে সাব্বিরের বাড়ি থেকে নিহত আব্দুল আলীমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাব্বির ও শাকিলকে অভিযুক্ত না করে সাক্ষী হিসেবে আদালতে পাঠানোর কারণে এলাকায় এ নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, বুধবার ভোরে পুলিশ দক্ষিণ সাতুটিয়া গ্রামের রকিবের বাড়ি থেকে নোমান, শরিফ, জামিল, ইমরান ও শাকিলকে আটক করেন। তাদের মধ্যে নোমান ব্যতীত অন্য চারজন কালিহাতী নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পাঁচজনকে মামলা থেকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র নোমানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। অন্য পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অথচ ঘড়িয়া গ্রামের আ. লতিফের ছেলে সাব্বিরের বাড়ি থেকে নিহত আব্দুল আলীমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাব্বির ও শাকিলকে অভিযুক্ত না করে সাক্ষী হিসেবে এফআইআরে সংযুক্ত করা হয়। ফলে কালিহাতী থানার ওসি আবুল কালাম ভূইয়া ও সহকারী পুলিশ সুপার(কালিহাতী সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল ইমরানের বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এদিকে, কালিহাতী সার্কেল এএসপি আব্দুল্লাহ আল ইমরানের দেহরক্ষী কনষ্টেবল নাদের খান সম্প্রতি দেলদুয়ারে ইয়াবা কিনতে গিয়ে জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হন। সচেতন মহল দুইয়ে দুয়ে চার মিলিয়ে অভিযোগের খর্গ তুলছেন।
প্রকাশ, গত শনিবার(১২ এপ্রিল) কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও ঘাটাইল উপজেলার চাঁনতারা গ্রামের প্রবাসী জহিরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল আলীম বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয়। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কালিহাতী উপজেলা দক্ষিণ সাতুটিয়া গ্রামের জামাল বাদশার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আলীমের মা আকলিমা আক্তার বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কালিহাতী থানার ওসি আবুল কালাম ভূইয়া জানান, হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে ছয় জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর একজনকে অভিযুক্ত করে ও দুজনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, যেসব অভিযোগ বা যে জল্পনা-কল্পনা ছড়ানো হচ্ছে- তা আদৌ সত্য নয়। তাছাড়া মঙ্গলবার মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে খুবই ব্যস্ত সময় পাড় করতে হয়েছেছ্টেরেমধ্যে অনৈতিকতারসুযোগইবা কতটুকু? বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।