দেশের প্রথম মুঠোফোন অপারেটর প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশের (সিটিসেল) কার্যক্রম আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের আগে বন্ধ না করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
কার্যক্রম বন্ধের বিরুদ্ধে সিটিসেলের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ২৩ আগস্ট অর্থাৎ আগামীকাল মঙ্গলবার সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, যেহেতু আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিটিসেলকে কারণ দর্শানোর জবাব দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেহেতু এই সময়ের আগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানো যাবে না।
সিটিসেলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ। আর বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব ও সৈয়দ মাহছিব হোসেইন।
৪৭৭ কোটি টাকার বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় সিটিসেলের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না—সে বিষয়ে গত ১৭ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় বিটিআরসি। এ বিষয়ে জবাব দিতে সিটিসেলকে ৩০ দিনের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে সিটিসেলের গ্রাহকদের বিকল্প সেবা নেওয়ার জন্য গত ৩১ জুলাই একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিটিআরসি। সেই বিজ্ঞপ্তিতে ১৬ আগস্টের মধ্যে গ্রাহকদের বিকল্প সেবা নিতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ওই সময়সীমা পরে ২৩ আগস্ট অর্থাৎ আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এদিকে লাইসেন্স বাতিলের নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য এক মাসের সময় দেওয়া হলেও আগামীকাল থেকে সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধের সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল বিটিআরসি।
১৯৮৯ সালে দেশের প্রথম মুঠোফোন অপারেটর হিসেবে টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়ার লাইসেন্স পায় সিটিসেল। ১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরু করা সিটিসেলে বর্তমানে ৫৫ ভাগ শেয়ারের মালিক দেশীয় শিল্পগোষ্ঠী প্যাসিফিক মোটরস ও ফার ইস্ট টেলিকম। এর মধ্যে প্যাসিফিক মোটরসের শেয়ারের পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর ফার ইস্ট টেলিকমের ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। বাকি ৪৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিংটেল।